তোমার জন্য [সংস্করণ-১] | Tomar Janya [Ed. 1st]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
অঞ্জলি যা হয়েছে সেদিন সে-ই জানে । দিদিরা পর্যন্ত ওকে লক্ষ করে বলেছে, কি রে, তোর মুখ অত লাল-লাল কেন-_সকালে চা করে আবার Sater ডেকে আনিস নি তো! সোমা তাদের চোখ থেকেও পালিয়ে বেড়াতে চেষ্টা করেছে কারণ ওই লোকের সামনেই বোনেদের এই উদ্বেগ । বাবা তাবে আদর করে আবার খাওয়ার নেমন্তন্ন করে রেখেছে-_সে নড়তে যাবে কেন? কিন্তু আড়চোখে সোমা যতবার লক্ষ্য করেছে ওই মানুষকে. ততবারই যেন একটা! উদাস ভাব চোখে পড়েছে। পেটে পেটে যে বেশ ছষ্টুমি তখন কি তা বুঝেছে! অবশ্য বেশ কিছুদিন ধরেই ওই লোকের হাবভাব থেকে তার উদ্দেশ্যটা স্পষ্ট হয়ে আসছিল সোমার কাছে | রাতারাতি বাবার এত বড় ভক্ত আর সমজদার হয়ে ওঠার কারণ বাবার থেকেও ঢের আগে সোমা বুঝেছিল ৷ বাবার কোন কাজে লাগ৷ বা তার কোন উপকারে আসার জন্যে সর্বদ। যেন এক পায়ে See! আর বাড়িতে তখন ৬ই লোকের এত প্রশংসা যে সোমার মজাও লাগত, ভালও লাগত ৷ আরো বেশি ভাল লাগত এই কারণে যে, লোকটার ছরবলতার Ale একমাত্র সে-ই পেত । কোষ্ঠিবিচার আর হাত বিচারের ফলে বাবা চব্বিশ পেরুনোর আগে সোমার বিয়ে দেবে না ঘোষণা করে রেখেছিল ৷ নেই চৰব্বিশে পা দিয়েছে তখন । এ বছরটা পেরুলে সোম! যে কোথায় কোন্‌ ঘরে পড়বে সে-ছুশ্চিম্ত!। ভিতরে ভিতরে ছিলই । কাঁরণ প্রথম তিন মেয়ের বিয়ে দিতেই বাবার সামান্য পু জি একেবারে ঝাঝর! ৷ আয়ও দিনকে দিন কমছিল বই বাড়ছিল Ai তখন মাঝখানে পড়ে ওই লোক, অর্থাৎ ওই অরবিন্দ গাঙ্গুলিই বাবার. মনে আর ware ভাগ্যের জোয়ারের আশ্বাস এনে দিয়েছিল ৷ তখন কি ছাই একবারও ভাবতে পেরেছে তলায় তলায় বাবাই বড় রকমের একখান! টোপ ফেলে বসে আছে! সেই টোপ অরবিন্দ গাঙ্গুলিও গিলেছে, সোমাও গিলেছে। Ge সরস্বতী পুজোর দিনে খেতে বসার দৃশ্যটাও ভোলবার নয়। প্রথমে পর পর তিন জামাইবাবু খেতে বসেছিল, তাঁদের পাশে ১৬



Leave a Comment