For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)গন্ধে মাতাল রাতে যখন দ্বিতীয় পুরুষ গর্ভ সঞ্চার করে তখন প্রথম স্বামীর আদি
স্পর্শের আশ্চর্য যাদ্বর জন্য তার হৃদয় প্রান্তরের হাওয়ায় হা হা করতে থাকে। স্মৃতি
তিনজনের জন্য তিন টুকরো হয়ে ওর ABT দীর্ণ করেছে। ভিন্ন ভিন্ন সমাজ এক
হাজার কুটিল চোখে দেখেছে। ফেলে আসা সম্ভানের জন্য যখন বুকের ভেতর
বোবা কান্না জমেছে তখন প্রেম প্রেম খেলতে হয়েছে। কিছু ভাতের Gay | শাশুড়ি
এসব বোঝে | কাজে তার কাছে কমলা কিছুতেই অশুচি হয় না। দুর্গা জানে, আস্লাম
জানে মা রোজগার করে টাকা পাঠায় কাজেই মার জন্য দীর্ঘ প্রতিক্ষা তাদের অভিমানী
করে তোলে কিন্তু কিছুতেই বিরূপ করে না। মমতা মাখা চোখ দুটিতে ওরা কোনও
অশ্লীলতার ছায়া দেখে না। এ ছাড়া কমলা আর কি ভাবেই-বা জননী হতে পারত
এবং তাদের লালন করতে WHT হত? কোনও কোনও উদাস দুপুরে যখন বছদূর
FAQS মাঠের SS বায়ু ফড়িং-এর ডানা সঞ্চালনের মতো HA দপ করতে থাকে,
জলের পাম্পের ঝী ঝী শব্দ যখন শরীরে রক্ত চলাচলের শব্দের অনুরূপ হয়ে ওঠে
তখন কমলা নানা ভাবে নিজেকে প্রশ্ন করেছে কোথাও কি পরাশর হাজরা, ফজলুর
রহমান এবং দয়াবস্ত সিং এই তিনপুরুষের জন্য ওর কিশোরী কালের কল্পনার সেই
দিখিদিক অন্ধ করা Arse আছে? CS কারো জন্য মাছ-ভাত, কারো জন্য গোস্ত-তত্ত্রি,
কারো জন্য রুটি-তরকা বানিয়ে শাড়ি দুপাট্টা বা কামিজ পড়ে সেজেগুজে রাতের
অপেক্ষা করা। বিনিময়ে খাদ্য-বস্ত্র-নিরাপত্তা। এরমধ্যে কোনও জটিলতা নেই।
কাজেই পাপ-পুণ্য কিছু নেই। বউ সাজার চাকরি সবাই করে। ওর ক্ষেত্রে পরপর
তিনজনের | প্রথমজন জমির লড়াইয়ে জেলে গিয়ে আর ফেরেনি, দ্বিতীয়জন কাঠের
BANA | যেখানে জঙ্গল ইজারা নেয় তার পাশে কিছুকালেন জন্য ঘর বানায় এবং
সাময়িক ঘরওয়ালী রাখে। বন শেষ তো সংসারও শেষ। এ ভাবেই একদিন দ্বিতীয়
পুরুষের সঙ্গে ওর সম্পর্ক চুকে বুকে গিয়েছিল। তৃতীয়জন সম্পর্কটা স্থায়ী করতে
চেয়েছিল। সামান্য সরকারি চাকরি। ছোট্ট এক টুকরো ক্ষেত। পরিত্যক্ত কমলা তখন
এক ধাবায় বাসন মাজার কাজ ধরেছিল। সেখানেই আলাপ এবং কয়েক ঘণ্টা পরে
ট্রাকে উঠে নতুন সংসার পাততে চলে যাওয়া। এবার টিকে যেত। কিন্তু লোকটাই
টিকল না। খুন হয়ে গেল। ব্যস। এইতো সহজ সরল বৃত্তাসন্ত। চেহারাটা ওর সত্যি
ভাল। বিষ্ণুপুরের মন্দিরের দেয়ালে টেরাকোটার রাধারাণীর মতো। ও চেহারায়
ধুলো ময়লা লাগলেও একপশলা বৃষ্টিতে ফটফটে। দাগ থাকে না। রাতে কমলা রান্না করল। আস্লামের প্যান্ট বেশ ফিট করেছে। পায়েল পড়া
পা দুর্গা কতবার যে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখছে। বুড়ি লুধিয়ানার তুযের চাদর মুড়ে
বড় আরামে একটু নাক বের করে ঝাল লঙ্কা দিয়ে মাখা বেগুন পোড়ার ঘ্রাণ নিচ্ছে।
খাওয়া-দাওয়ার পর মেঝেতে ঢালা বিছানা। মার পিঠের কাছে আস্লাম রহমান!
কোলের কাছে জার্ণাইল সিং। আর ছোট্ট নরম শরীরটার পাশে দুর্গা হাজরা। আর
এক প্রান্তে প্রথম স্বামীর Gaal পৌষের অল্প অল্প ঠান্ডা। বাইরে টাদ। ঘুলঘুলির
ফাঁক দিয়ে জোছনা দেবতাদের রাস্তার মতো ওদের শিয়রের গাশে নেমে এসেছে।
আসলাম আর দুর্গা তন্ময় হয়ে শুনছিল we নদী-পাড়েব কথা। হোলা-মহল্লা
উৎসবে খোলা তরোয়াল হাতে শত শত যুবক ঘোড়ার পিঠে চেপে কতরকম কসরত ২০