For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)১৪ মানবপ্রেমিক বিবেকানন্দ সমাজের তথাকথিত উচ্চ বর্ণের লোকেরা আরামশয্যায় শায়িত।
তাদের সেবার GI লক্ষ লক্ষ জীবন উৎসপীকৃত | এই দরিদ্ব জন-
সাধারণের মাথার উপর গোটা সমাজব্যবস্থা দাড়িয়ে রয়েছে।
কিন্তু সবচেয়ে বেশী তাদের অসম্মান-_মানবাত্মা বারে বারে লাঞ্ছিত |
সমাজের ধনিক, বণিক, মোহাত্ত ও পুরোহিতকুল বিলাস-ব্যসনের
স্রোতে ভেসে চলেছে। নৈতিক মেরুদণ্ড তাদের ভেঙে পড়েছে।
স্বামীজি বুঝলেন, ভারতবর্ষকে জাগাতে পারে একমাত্র জনসাধারণ।
দীর্ঘকাল জনসাধারণকে বঞ্চিত ও শোষিত করা হয়েছে। আজকে
তাই তারা wos কিন্তু তাদের ange ফিরিয়ে আনতে
পারলেই ভারতবর্ষের নবজাগরণ সম্ভব হবে | স্বামীজি বুঝেছিলেন যে বর্তমান যুগ তথাকথিত শুদ্র ও সর্বহারা-
দের যুগ । ভগিনী ক্তরিষ্টিন-এর কাছ থেকে আমরা জানতে পারি
যে স্বামীজি একসময় একটি স্বগতোক্তি করেছিলেন,-_“ত্রাম্মণ যুগ,
ক্ষত্রিয় যুগ, বৈশ্য যুগ কেটে গেছে--আজ এসেছে IA যুগ ”” এই
শৃদ্র জাগরণ জনসাধারণের জাগরণ | মাঝে মাঝে মধ্যবিত্ত শ্েণীর কেউ কেউ সন্ত্রাসবাদের সাহায্যে
ইংরেজ PAPA ও ছুঃশাসন দূর করবার চেষ্টা করেছিল। স্বামীজির
মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের উপর তেমন বিশ্বাস ছিল না। তিনি জানতেন,
আবেগের মুহূর্তে এরা ছু-একজন হয়ত কোন বিপ্লবাত্মক কার্যে fara
হতে পারে। ছু-একজন পুলিস কর্মচারী বা জেলা শাসককে হত্যাও
করতে পারে, কিন্তু সেটা শেয়ের পথ নয়। তাতেই গণজাগরণ
সম্ভবপর নয়। তাই জনসাধারণ ও যুব-সম্প্রদায়ই ভারতবর্ষের ভাগ্য
নিয়ন্ত্রণ করবে-_-এই ছিল তার aay বিশ্বাস | যে জনসাধারণের উপর স্বামীজির এত প্রবল বিশ্বাস তারা বহু
দিনের অত্যাচারে পঙ্গু, বহুযুগের তামসিকতায় অন্ধ। তাদের যদি
জাগিয়ে তোলা যায় তবে তারাই আবার দেশকে জাগিয়ে তুলবে!
তাদের জাগিয়ে তোলবার পথ কি ? মনে পড়ল ঠাকুর রামকৃষ্ণের