রঙ্গকথা | Rangakatha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
রঙ্গকথা ১৭ একদিন মতি ধোপার গাধা গেল হারিয়ে। মতি ব্রাহ্মণের পায়ে এসে হুমড়ি খেয়ে AVA ব্রাহ্মণ সব শুনল। মতি চলে গেলে, ঝা-ঝা রোদ্দুরের মধ্যে সে সারা গী তন্ন তন্ন খুঁজলো, কিন্তু গাধার খোঁজ মিলল না। সন্ধের দিকে মতি খবর নিতে এলে ব্রাহ্মণ তাকে জানায়, 'ওরে মতি, আজ মা চণ্ডী জেগেছেন, আজ আর পাবিনে। কাল এসে তোর গাধা নিয়ে যাস।' মতি চলে গেলে, ব্রাহ্মণ ভেবে অস্থির। এবার বুঝি তার জারিজুরি ধরা পড়ে যায়। (HBT চোখে ঘুম আসেনা। সে আপন মনে ঘরের মধ্যে পায়চারি করতে থাকে। তখন রাত নিঝুম। বাইরে কিসের শব্দ। বামনি ব্রাহ্মণকে ডেকে বলে, “ওঠো, নিশ্চয় চোর এসেছে। রোজ পরের বাড়ির চোর ধরে বেড়াও, আজ নিজের বাড়ির চোর ধরতে হবে কিন্তু” ব্রাহ্মণ আর কি করে, দুর্গানাম জপ করতে করতে চোর ধরতে ঘরের বাইরে যায়, আর গিয়ে HCA— SA কেউ নয়, মতির হারানো গাধাটা এসে অদ্ভুত শব্দ করছে। ব্রাহ্মণ আনন্দে তাড়াতাড়ি গিয়ে গাধাটার গলা জড়িয়ে ধরে। জাপ্টাজাপ্টিতে গাধার গলার বীধন ব্রাহ্মণের গলায় বসে গিয়ে সে এক বিশ্রী কাণ্ড! বামনি বাইরে এসে, এ অবস্থায় ব্রাহ্মণকে দেখে, ভয়ে চিৎকার করে ওঠে। বাঁমনির চিৎকারে পড়শিরা ভিড় করে। তারা জিজ্ঞেস করে, 'হলটা কি? অমন তারস্বরে চিৎকার করছিলে কেন?” ব্রাহ্মণ এরই মধ্যে পরিস্থিতি সামলে নিয়েছে। বামনিও বুঝতে পেরেছে অমন চিৎকার করাটা মোটেই বুদ্ধির কাজ হয়নি। সে তখুনি ভোল পাপ্টে পড়শিদের কাছে বড়াই করতে থাকে, 'আমার সোয়ামির বাহাদুরিটা তোমরা দেখলে? মাঝরাত্তিরে মতির হারিয়ে যাওয়া গাধাটা ঠিক ধরে নিয়ে এল--এতেও আনন্দে চিৎকার করব না তো আর কিসে করব শুনি?' এটি একটি লম্বা কাহিনি। সুতরাং আপাতত ফুরোচ্ছেনা। তবে আলোচনার কাজে আর বেশি না এগুলেও চলবে। এ-কাহিনিটিকে শহুরে মানুষের কাছে অধুনা নতুন করে পরিচিত করে দিয়েছেন মোহিত চট্টোপাধ্যায় তার “তোতারাম” নাটিকায় ব্যবহার করে। এ-কাহিনির টাইপ--১৬৪১ : AST কাহিনিটির প্রথমদিকে ব্রাহ্মণের পিঠে-সংক্রান্ত ব্যাপারের সঙ্গে পরের অংশের সম্পর্ক খুব শক্তপোক্ত AT! লম্বা কাহিনির এটাই বোধ হয় বৈশিষ্ট্য। সে যাই হোক, একটা বিষয় আমাদের নজর কাড়ে। বিষয়টা হল, এই লোককথায় পিঠের সংখ্যাটি। 'একুশ' সংখ্যা বাংলা লোককথায় একটি ইন্দ্রজালিক সংখ্যা। ভাগ্যপরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করে। ভাগ্যপরিবর্তন এখানেও হয়েছে। একুশটি পিঠে ব্রাহ্মণের ভাগ্য ফিরিয়ে দিয়েছে। দুই মেয়ে আর তাদের ভিখিরি বাপের কাহিনি মনে পড়ে? feta ব্রাহ্মণ গেছে ভিক্ষে জুটোতে ৷ ঘরে দুই মেয়ে বসে আছে। বাপের জোগাড় করা ভিক্ষান্ন এলে তবেই রান্না হবে। এমন সময় এক ভিথখিরি এসে চাল চায়। ক্ড“ মেয়ে বিরক্ত হয়ে



Leave a Comment