প্রবাসের পত্র | Prabaser Patra

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
কানপুর । _ ৯ একটি মন্দির এখনও বিরাজিত রহিয়াছে। মানুষ যখন হিংসা- প্রণোদিত হইয়া Hey প্রাপ্ত হয়, তখন, এরূপ পবিত্র স্থান,-_ মাতা ভাগিরথীর বক্ষ পর্য্যস্ত কলুষিত করিতে শঙ্কিত হয় না! মানুষ-পশ্তর* মত এমন হিংল পণ্ড জগতে নাই। এই বধঘাঁটে দীড়াইয়া আমার বোধ হইল, যেন আমি সেই হৃদয়বিদারক WD 'নয়নে দেখিতেছিলাম। সেই শত শত নর-নারীর ও স্কুমার শিশুর 'রোদননিনাদ যেন পুণ্যতোয়। জাহ্ৃবীর বক্ষ প্লাবিত Firm, আমার কর্ণে প্রবেশ করিতেছিল। পারবে রজকেরা সারি বাঁধিয়া কাপড় ধুইতেছিল। আমি ভাবিতেছিলাম, তভারতমাতার বক্ষ হইতে কি কেহ এ কলঙ্ক এইরূপে ধুইয়! ফেলিতে পারে না? ‘atta হইতে 'সৈন্তনিবাসমালা অতিক্রম করিয়া, “সবেদা- ay দেখিতে যাই । এটি নানার কানপুরস্থ আবাস-গৃহ ছিল। গৃহটি এখন ভাঙ্গিয়া পড়িতেছে। ইহার ied, বিদ্রোহীদের সঙ্গে ইংরেজদের কানপুরের শেষ যুদ্ধ হয়।' তিন দিক হইতে তিন জন খ্যাতনামা সৈন্যাধ্যক্ষ আক্রমণ করিলে, ত্রিবেণীর তরঙ্গ- তাড়িত তৃণরাশির ota, সৈন্যাধ্যক্ষবিহীন বিদ্রোহীরা গঙ্গার সেতু বাহিয়া পলাইতে আরম্ভ করে। তখন প্রতিহিংসা-মত্ত ইংরাজেরা তোপের দ্বারা সহস্র সহস্র নর-নারীকে Seat করিয়া নিহত করেন। কেবল এক পক্ষেই নৃশংসতার অভিনয় হয় নাই! তাহার পর, মহেন্দ্র বাবু স্বয়ং আমাকে সঙ্গে করিয়া লইয়| গিয়া, কানপুরের HAT দেখান \ ইহাতে এক দিকে পুরুষ ও অন্যদিকে স্ত্রীলোকদের স্নান করিবার স্থান নির্ধারিত রহিয়াছে।



Leave a Comment