একার সংসার | Ekar Sangsar

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
পড়াশোনায় মন তার নেই | কলেজে ওর মত বেশকিছু স্বপ্ন বিলাসী প্লেয়ারও আছে। তারাও অনেকে স্বপ্ন দেখে তারা ডিভিশনে খেলবে। তাই এখন পাড়ার ক্লাবেই ঘোরাফেরা করে চাকশ্সের Gey | সুজিতও মেশে তাদের ACH! সে দেখেছে ওইসব প্লেয়ারদের সেই নিষ্ঠা আর সাধনা নেই। তারা প্র্যাকটিসও নিয়মিত করে at! আর খেলার জন্য দৈহিক মানসিক প্রস্তুতির যেটুকু দরকার তাও তাদের নেই। সুজিত এগুলো নিষ্ঠার সাথে করে। নিয়ম মেনেই করে। বাড়িতে অভাব অনটন। বাবার এখন চাকরিও নাই-_পেনশনের টাকা এখনও পায়নি বাবা। কোনমতে জমানো টাকা যা ছিল তাতেই টেনেটুনে তাদের সংসারটা চলে। কিন্তু এত অভাব অনটনের মধ্যেও চরম স্বার্থপরের মতো সুজিত তার নিজের জন্য ডিম-মাখন-মাংস এসব আদায় করে নেয়। অসহায় দর্শকের মতো ভবেশবাবু শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেন। সাবিত্রী বলে, আহা ছেলে মানুষ । STS তো সাধ আহ্লাদ আছে। তাছাড়া খেলার জন্য হাড়ভাঙা খাটুনি খাটে ওকে ভালোমন্দ খেতে দিতে হবে না। -_তা বুঝি গো। কিন্তু এ বাড়িতে অন্যরাও তো আছে। তাদেরও ডাল ভাতের প্রয়োজন। সবই যদি তোমার ছোট কুমারের পিছনে যায়। অন্যরা কি উপোস দেবে ওর খেলার জন্য? সাবিত্রী বলে,--এ নিয়ে তুমি আর কথা বাড়িয়ো না।। যেভাবে হোক দিন চলে যাবে। শিখাও দেখে এ সংসারে যত দাবী ওই Wares সেদিন রাতে বিজিত আর শিখা খেতে বসেছে।। সামান্যই খাবার ডাল, রুটি আর কুমড়ো আলু দিয়ে সেদ্ধ ঘ্যাট। ওদিকে সুজিতের জন্য রুটি আর চিকেন স্টু। সঙ্গে সন্দেশ। শিখা বলে, --মা! দাদাকে একটু FY দাও না? সাবিত্রী বলে, সুজিতের জন্য করেছি ওকেই দিয়ে দিলাম। বিজিত বলে,-না-না, এইতো বেশ খাচ্ছিরে। তারপর প্রসঙ্গটা পাল্টাবার জন্য বলে,- সুজিত তোর খেলা কেমন চলছে রে। এবার ছোট-খাটো টিমে খেলা ছেড়ে নামী টিমে যাবার চেষ্টা কর। তুই তো দারুণ খেলিস। একবার ডিভিশনে খেলতে পারলে আর কে আটকাবে তোকে? সুজিত বলে,--সেই চেষ্টাই করছে। সামনে শীল্ড ফাইন্যাল। এবার ক্লাবে শীল্ড এনে দিতে পারলে হারুদা বলেছে ও আমার জন্য চেষ্টা করবে। সুজিত মাংসের টুকরোয় কামড় দেয়। বিজিত বলে,--দেখবি ঠিক চান্স পাবি তুই! সুজিত-এর ক্লাব এবার কোনও একটা শীল্ডের ফাইন্যালে উঠেছে। সুজিত ক্লাবের নামকরা স্ট্রাইকার। তার গতিবেগও অসাধারণ। আর পায়ে বল পেলে তখন যেন দেহে-মনে কি এক অন্যশক্তি এসে ভর করে। প্রতিপক্ষের ব্যাক অন্য প্লেয়ারদের সহজ্ঞেই সে দেহের একটা আকস্মিক মোচড়ে পরাস্ত করে বল কাটিয়ে নিয়ে গিয়ে ১৮



Leave a Comment