For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)পূর্বাভাষ ° ভবে বড়রকমের কোনো পরিবর্তন sm হয়নি। কোনো কোনো পরিচ্ছেদ
তিনবার বা চারবারও সংশোধন করা ez |
ংশোধনের কাজ শেষ হবার পর প্রজাতন্ত্র দিবসে মৌলানা সাহেব আমাকে বলেন, পাঙুলিপিট। পড়ে তিনি খুশী হয়েছেন। তিনি আরো বলেন,
এবার এটিকে ছাপতে দেওয়া যেতে পারে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য, গ্রন্থটি যেভাবে প্রকাশিত হয়েছে তা হলে
তার অনুমোদিত খসড়া-পাঙুলিপিরই মুদ্রিত রপ। মৌলানা আজাদের ইচ্ছে
ছিলো গ্রন্থটি তার সপ্ততিতম জন্মদিনে ( অর্থাৎ ১৯৫৮ খ্রীস্টার্বের নভেম্বর
মাসে ) প্রকাশ করতে হবে; কিন্তু ভাগ্যের এমনই পরিহাস গ্রন্থটি যখন
প্রকাশিত হলো তথন তিনি আর ইহজগতে নেই | আগেই বলেছি, এ বই লেখার ব্যাপারে মৌলানা সাহেব প্রথম দিকে
মোটেই আগ্রহান্ব্বিত ছিলেন না; কিন্তু পরবর্তীকালে রচনার কাজ যতোই
এগোতে থাকে ততোই তার আগ্রং বাড়তে থাকে প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য,
বিগত ছ মাসে তিনি প্রায় প্রতিটি সন্ধাই পাঙুলিপি তৈরীর কাজে ব্যাপৃত
ছিলেন | ব্যক্তিগত ঘটনাবলী প্রকাশ করার ব্যাপারে সংকোচ বোধ করলেও
শেষ পর্যন্ত তিনি তার জীবনপঞ্জীর প্রথম অংশ লিখতে সম্মত হন। উক্ত প্রথম
অংশের একটি সংক্ষিপ্তসারও তিনি তৈরি করেন । তাঁর ইচ্ছানুসারে উক্ত
সংক্ষিপ্তসার এই গ্রন্থের প্রারস্তিক পরিচ্ছেদ হিসেবে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত
আরো] একটি কথা বলে রাখা দরকার, আত্মজীবনীর একটি তৃতীয় tee তার
লেখার ইচ্ছে face (যাতে ১৯৪৮ Bote থেকে পরবর্তীকালের ঘটনাবলী
থাকবে ), কিন্তু সে tee আর কোনোদিনই লেখা হবে না। আমার কাছে এই গ্রন্থটি লেখার কাজ fern অত্যন্ত আনন্দদায়ক |
আমার এই আনন্দ।আরো! afte হবে যদি আমি বুঝতে পারি মৌলানা
সাহেবের প্রকৃত মানসকে আমি যথাযথভাবে উপস্থাপিত করতে পেরেছি।
তার এই মানস হলো ভারতের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সুষু সমঝোতা WS
করে এক বিশ্বজনীন crate সৃষ্টির প্রয়াস। তিনি আশা! করতেন ভারত
এবং পাকিস্তানের অধিবাসীরা পরস্পরের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন হবে এবং একে
অপরের প্রতি প্রতিবেশীর মতো! আচরণ করবে । এই মনোভাবের জন্যই
তিনি “ইণ্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনসূ নামক সাংস্কৃতিক
প্রতিষ্ঠানকে সবিশেষ গুরুত্ব দিতেন | তিনি মনে করতেন, উক্ত প্রতিষ্ঠান
এই ব্যাপারে উভয় রাষ্ট্রের অধিবাসীদের মধ্যে একটি সুস্থ পরিবেশ