পুরাতনী [সংস্করণ-১] | Puratani [Ed.1st]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
পুরাতনী রা আমার ভাবী ASS ঠাকুরাণীকে আমাকে দেখাতে নিয়ে যান, আর তার এক ছেলের সঙ্গে আমার বিয়ের কথা বলেন | এত জাকজমক গোলমালের মধ্যে আর বেশীদিন থাকতে মায়ের ভাল লাগছিল না। তাই বাবামশায় আমাদের নরেন্দ্রপুরের বাড়ীতে এনে রেখে গেলেন | আমরা প্রথমে যে বাড়ীতে ছিলুম, সে বাড়ীর কথা আমার বিশেষ কিছু মনে পড়ে না। তারপর যে আর এক জায়গায় থাকতে গেলুম, সেই বাড়ীর ঘরদোর আমার কিছু কিছু মনে আছে । আলাদা আলাদ৷ এক-একথানা ঘর, একটা দক্ষিণের, একটা পশ্চিমের আর একটা! উত্তরের --সেইটেই সবচেয়ে AW | এই তিন ঘরের সামনে একটা বড়ে৷ উঠোন | দক্ষিণের ঘরের একটু পিছন দিকে রান্নাঘর, তার সামনে আর একটা Bott! সমস্ত ঘরগুলির চারিপাশে পাচিল দিয়ে থেরা । দক্ষিণের আর উত্তরের ঘরের মাঝের পাচিলে সদর দরজা ছিল । দরজার বাইবে উত্তর দিকে একটা বড় ঘর ছিল আর দক্ষিণ দিকে দরওযানদের থাকবার একটা ঘর far) তার পরেই চারিদিকে পাচিল দিয়ে ঘের৷ একটা ফুলবাগান fer বাগানের প্রতি বাবামশায়ের অসাধারণ অন্গরাগ ছিল। সেই ফুলবাগানে তিনি অনেকরকম দুর্লভ ফুলেব গাছ লাগিয়েছিলেন। পশ্চিমেব দিকে অনেকটা জমি ছিল ৷ তাতে একটা পুকুর কাটিয়েছিলেন, তার এক পাড়ে একটি বড় কলাবাগান আর অপর তিন পাড়ে Bota গাছ লাগানো ছিল ৷ সেই পুকুরের জলেই আমাদেব স্নান পান রান্না সব কাজ চলত ৷ একবার বাবামশায়ের গুরুমশায় এসে কথায় কথায় বলেছিলেন যে, সব দানের চেয়ে বিদ্যাদান A তাই থেকে বাবামশায়ের মনে হল যে পাচিলের বাইরে উত্তরের বড় ঘরটায় একটা পাঠশালা বসাবেন। তার জন্য একজন গুরুমশায় রাখা হল, আর WIS অনেক পোড়ে৷ এসে জুট্‌লো ৷ পাঠশালা রীতিমত চল্তে লাগল। তখন বাবামশায়ের মনে হল যে, বাড়ীতেই যখন পাঠশালা হল, গুরুমশায়ও রাখা হুল, তখন আমার মেয়েটিকেও পাঠশালায় পড়তে দিই-_ছোট মেয়ে, তাতে বোধ হয় কোন দোষ হবে না। সে



Leave a Comment