For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)...এই তিনের বিষময় ফল এ একটিতে | বিশেষ করে পরাধীনতা ও
পরমুখাপেক্ষিতা মানুষের প্রধান গুণগুলোকে নষ্ট বা পঙ্গু করার পক্ষে ACAB |”
(বলাকা,শআআবণ-১৩৬২, সম্পাদকীয়) পরাধীন জাতির এটাই বিধিলিপি! সুলেখা মনে করিয়ে দিয়েছেন, ব্রিটিশ আমলে স্বাধীনতা সংগ্রামের সব
চেয়ে বিরোধিতা করেছিল ভারতীয়দেরই একাংশ | পুরুষ শাসিত সমাজে মেয়েরাও এক অর্থে পরাধীন | পুরুষদের
সহায়তা ও সমর্থন যখন তাদের অস্তিত্বের শর্ত, তখন তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ি চলা স্বাভাবিক সূলেখার উপন্যাসের নারী চরিত্ররা অবশ্য প্রচলিত অবস্থার মধ্যেই যাকে “feminine solidaritv.”
নারীসুলভ সহমর্মিতা ও সহযোগিতা বলে, তার বিস্ময়কর পরিচয় দেয়। ইন্দ্রাণী/শিবানী তার দুঃস্থ বান্ধবী
বীণা/নমিতার জন্য এক অতি প্রয়োজনীয় চাকরি জোগাড় করে দেয়। তাদের বন্ধুকে বাচাতে নিজের স্বামীর
পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে, যা করে তার তুলনা নেই। তেমনি তুলনাহীন মৌরী যে ভাবে আর একটি মেয়ের
অপমানের শোধ নিতে নিজের পছন্দের বিয়ে ভেঙে দিয়েছিল। অথচ সে সময় মৌরী মমতাকে বলতে গেলে
চিনতই না। মমতা অনুরূপভাবে শরিক হয়েছে তার এক সহকর্মিণীর অপমানের | WHA চ্যাটার্জি নমিতা নামে
এক নার্সের সঙ্গে প্রেমের খেলা সাঙ্গ করে একটি “ভাল” মেয়েকে বিয়ে করতে চলেছেন। এই বিশ্বাসঘাতকতায়
যেন নমিতার চেয়ে মমতা আরো বেশি আহত হয়েছে। শেষে মৌরী ও মমতা মিলে তৃতীয় এক নারীকে
সাহায্য করে। “মিত্রা” উপন্যাসে মিত্রা কয়েক বছর কাটায় পুরানো ছকের যৌথ পরিবারে | তার শ্বাশুড়ি স্বর্ণময়ী অবশ্য
শান্ত, নিরীহ। বধূর বিরুদ্ধাচরণ করার বদলে ছেলে লীলাকান্তকে মনে করিয়ে দেন স্ত্রীর প্রতি তার কর্তব্যের
কথা। মিত্রার অসুখী বিবাহিত জীবনের দায় অস্তত শ্বাশুড়ি ননদ নয়, সরাসরি তার স্বামীই বহন করবে। তবে
বিধবা মিত্রার মাছ মাংস খাওয়ার খবরটি তার এক পিসমশ্বাশুড়ি কৌশলে রটিয়ে দেন। চিরশাস্ত স্বর্ণময়ী একাধারে
বধূর বিরুদ্ধে অভিমানে ও ননদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন | পরে আবার নিজেই যেচে বধূর সঙ্গে সম্পর্ক
স্থাপনে দ্বিধা করেন না। NA সব চেয়ে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার জা রানীর সঙ্গে | রাণীর বাপের বাড়ির
অবস্থা ভাল AT | রানীর স্বামী ধনী হলেও শ্বশুরবাড়ির জন্য কিছু করতে নারাজ। মিত্রা রানীকে এই প্রয়োজনীয়
সাহায্যের জন্য অর্থ দেয়। এটাও নারীসুলভ সহযোগিতার এক নিদর্শন হতে পারে। “পারলাম না” নামক নভেলেট সুলেখার সৃজন ক্ষমতার আর এক দিক তুলে ধরে। এখানে যা বিষয়--
পূর্ব ও পশ্চিম বাংলার মধ্যে সম্পর্ক | দেশভাগ ও তার বিষাক্ত ফসল। দুই দিকের মিল ও অমিল-_ একাধিক
বার বাংলা সাহিত্যে আলোচিত হয়েছে। এই বড়গল্পটি তবু মনকাড়া মৌলিকতা দাবি করতে পারে। কাহিনীর রূপরেখা এই AHA | পটভূমিকা,বিশ্বযুদ্ধের আগেকার সময় থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কাল।
যখন কাহিনীর সূত্রপাত তখন দেশভাগ হয়নি। তেমন ঘটনার কথাও অচিস্তনীয় ছিল। তবে পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের
মধ্যে (গল্পে কেবল মধ্যবিত্ত, উচ্চবর্ণ, হিন্দু বাঙালিদের কথাই ধরা হয়েছে) এক ধরনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক
বিভাজন চোখে পড়ল। তথাকথিত “ঘটি” ও “বাঙাল” পরস্পরকে একটু অবজ্ঞা ও অবিশ্বাস করত দুই পক্ষের
মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্কের খুব একটা চল ছিল না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নায়ক/কথক কিশোর অমলের ছোটমামা
(কাহিনীতে তারঅন্য কোনো নাম বা পরিচয় দেওয়া নেই) অলিখিতনিয়ম ভেঙে, বাড়ির লোকের আপত্তি অগ্রাহ্য
করে বিক্রমপুরের এক সুন্দরী জমিদারকন্যা সুমিত্রাকে ঘরে আনলেন ।নরানাংমাতৃলক্রমঃ। অমল ছোট মামীমার
সঙ্গে তার বাপের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে পূর্ব বঙ্গের প্রকৃতি ও দুর্গাপূজোর CASS দেখে YM, VA | কেবল তাই নয়,
HAAS ছোটবোন.কিশোরী উত্তরার প্রতি আকৃষ্ট হল। জলের দেশের কিশোরী উত্তরা যেন সুন্দরী জলকন্যা। তার
বেশির ভাগ সময় কাটে নদীতে | মাছ ধরে, সাঁতার কেটে, নৌকো CAC | অমল ও উত্তরার বাল্যপ্রেম তারা পূর্ণবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত লতাপাতা বিস্তার wa | কিন্তু পরিণাম লাভ করে
না। অথচ দুজনের সামাক্তিক মিলনের পথে এমন কোনো দুস্তর বাধা ছিল না! সূমিত্রা গোড়া থেকে এই বিবাহের
বিরুদ্ধে, কিন্তু তার যুক্তি অমলের বাবা মা তঅখুশি হবেন, উত্তরা TH হতে পারে, কারণ তার পরিবারে কেউ কেউ নিঃসম্ভান-_
খুব জোরালো মনে হয় না। সূমিত্রা নিজক্রের বিবাহিত Stara সুখী হয় নি। হতে পারে, বিক্রমপুরের গ্রামের জল
হাওয়া মাটি দিয়ে গড়া মেয়ে কলকাতার Slava সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে fet | সর্ব্বোপরি সুমিত্রা অ।র তার ১৮
Hello. Is Sudeshna Basak ma’am still alive?
Hello. No, my mother Sudeshna Basak passed away in May 2021.