For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)Cat ঃ মরালী |
মরালী 8 নাও নাও টাকা! আনো খাবার ! ফাসকেলাস হয় যেন!
[হতভম্ব বেণীর নাকের ডগায় ছুঁড়ে দেয়] কেট ঃ ফুলশয্যের সেই টাকা! মরালী ঃ হ্যা a রাতে বলেছিলে না, সংসারে তুমি আমার মান বজায় রাখবে, আমি
তোমার মান বজায় রাথবো-মাত্তবব সোমে-সোমে একুশদিনে সব ভুলে যাবো! না গো, না_
না-টোপুর টুপুর) i মানুষের নির্মমতা ও হৃদয়হীনতা, বিশেষ করে, গরীবদের নিয়ে মজা করবার প্রবণতাকে
এভাবেই আক্রমণ করেন মনোজ মিত্র ৷ “টাপুর টুপুর'-এবই যেন বিস্তার ঘটে “পাখি' নামের
ছোট একাঙ্কটিতে | এখানেও সামান্য “হারিকেন' বিক্রেতা নীতীশের বিবাহবার্ষিকীকে যখন বিধ্বস্ত
করতে চায 'কুকুরওয়ালা' ননী, প্রায় একই ধবনেব প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে নীতীশের স্ত্রী শ্যামা
যে-শ্যামা নটিকেব শুরুতে নীতীশেব অনিমৃম্যকারিতা নিযে Raw ছিল, ননীর অপমানকর
চিঠি পড়ে সেই শ্যামাই অদ্ভুত মমতায় স্বামীকে বলে £ শ্যামা : (অদ্ভুত চাপা গলায়) কেন যাও, কেন যাও এ বড়লোক বন্ধুদের কাছে, যারা
শুধু আমাদের গবিব বলে করুণা করে! কেন, কেন যাও ? নীতীশ 3 শ্যামা... শ্যামা 3 (বাতিদানে পাচটি মোমবাতি ভালাচ্ছে) নাই বা এলো ওরা...নাইবা ভ্বলল
আলো...বাজল বাজনা ! fy আমাদেব দিনটা মিছে কেন হবে...সাতৃই ফা্গুন...আমাদেব
একটা দিন | বলো...ওব! কে আমাদেব Gh, যে এপো না বলে সব AE করে দিতে হবে ?
এরা! আমাদেব কেউ না NES না..শ্যামা ও নীতীশ মোমবাতির আ'লোয মুখোমুখি
তাকায়) | [পাখি] শ্যামার জ্বালানো মোমবাতি তখন আর শুধু MHS আলোকিত করে না, মানুষকেও
পৌঁছে দেয় এক প্রত্যযের পথিবীতে | শ্রদ্ধা কবুণা ভালোবাসা প্রভৃতি শব্দগুলো তখন যেন
শরীরী হয়ে ওঠে এবং জন্ম দেয বিবিধ সম্ভাবনার! এ সাধ্য ও সম্ভাবনাবই AAAS হল
মনে'ড৷ মিত্রের নাটক | এভাবেই উল্লেখিত হতে পারে, একাঙ্কসহ তার আরো কিছু aids | বলা যায় তাব প্রথম
রচনা 'মৃত্যুর চোখে জল' নামের একাঙ্কটির কথা যেখানে জীবন ও মৃত্যুর সংঘর্ষে উৎপন্ন
হযেছে বিবিধ বাসনার স্ফুলিঙ্গ। আলোচনার বৃত্তে আসতে পারে 'চোখে আঙুল দাদা, 'প্রভাত
ফিরে এসো' অথবা ‘seer’, বিষয ও প্রকরণে যাদের প্রতিটি wey | উচ্চকিত হাসি,
প্রখর ব্যঙ্গ, বিষণ্ণ বেদনার বিমিশ্র প্রকাশ দর্শক-পাঠকদের নানাভাবে বিচলিত করে। তাঁর
উৎকল্পনা প্রায চূুড়োয পৌঁছোয় 'টু-ইন-ওয়ান' অথবা 'চোখে আঙুল দাদা'-য়। স্থান কাল
পাধেব প্রচলিত লজিককে পরোয়া না করে প্রতিষ্ঠা করেন নিজস্ব লজিক, তার নন্দনেও পুত
হন পাঠক ও দর্শক | 'আমি মদন বলছি' যেন ভরতের 'নাট্যশাস্ত্র' মেনে রচিত একটি 'ভান'
যেথানে একটিমাত্র চবিত্র নানা হাস্যকর পরিস্থিতির নাটকীয় বর্ণনার মধ্য দিয়ে সামাজিক
বিচিত্রতার স্বাদ দেয়। তবে যে-ধরনের নাটকই লিখুন মনোজ মিত্র তাঁর বিশ্বাসের জগত বিচলিত
হয় না কখনো। নানা সংশয়, ক্ষোভ, পরাজয়কে তিনি পেরিয়ে যান প্রত্যয় নিয়ে, ঘোষণা
করেন, 'মানুষের ভাগ্য চিরকাল লড়াই করে ফেরাতে হয়েছে, চিরকাল তাই হবে' (কালবিহঙ্গ) | মনোজ মিত্রের নাটকসমূহ এ আস্তিক্যেরইই অনুবাদ RR বসু