গোয়েন্দা অশোক ঠাকুর সমগ্র ২ | Goyenda Ashok Thakur Samagra 2

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
কমিশনারের কাছে খবর চলে যায়। জাল ফেলে দেখা হয় চারদিকে। আর তা নইলে, রেল লাইনে খোঁজ পড়ে, যদি আত্মহত্যা বা অন্য কিছু ঘটে থাকে। শ্রীনিবাসের বেলায় যা যা করা উচিত, সবই Fa হয়েছিল। কিন্তু তিনদিনের মধ্যেও তার কোনও খবর পাওয়া যায়নি। অশোক শুধু বেকার নয়। তার জীবনটা বাইরের থেকে এমনিতেও খুব THA বলেই মনে হয়। ওদের তিন ভাইয়ের খাওয়া পরার ভাবনা ছিল না। অথচ, ঠাকুরবাড়ির যা চালচলন, সাদা সিধে জীবনযাত্রা, তা-ই ছিল। একটা সময় পর্যন্ত সকলেই পড়াশুনো করেছে। তারপরে যে যার নিজের নেশা নিয়ে আছে। বড় ভাইয়ের নেশা হল, গান বাজনা | ধুপদ-ধামারেই তার HB | মেজ ভাইয়ের নেশা হল জ্যোতিবী। যত রাজে)র জ্যোতিফীশান্ত্র নিয়ে তার কারবার কিন্তু কোনওটাই তাদের পেশা নয়। নিতাত্ত নেশা | একমাত্র অশোকের নেশা, বন্ধুদের নিয়ে ACE বসে আড্ডা দেওয়া | তবে তার মধ্যে কথা আছে। যে কোন অপরাধ সম্পঞ্কেই, ওর একটা বিশেষ কৌতূহল আছে। এসব নিয়ে ওর গবেষণার অস্ত নেই, থিসিসও প্রচুর | কিন্তু শোনবার লোক বিশেষ নেই। ওর বন্ধুরা VG | খবরের কাগজের সংবাদে, বা এই শহরে, কোথাও কোনও অপরাধ ঘটলে, বন্ধুদের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করে | দেখা যায়, প্রায় সময়েই, ও যা বলে, সেই সিদ্ধাতুই খাটে। বিশেষত অপরাধ কী ভাবে ঘটেছে, অপরাধী তার জন্য কী কী org] অবলম্বন করতে পারে, এ সব প্রায় নিখুঁত বলে দিতে পারে। সব ক্ষেত্রে নয়, তবে প্রায় ক্ষেত্রেই | যে কারণে ওর বন্ধুরা বলে, WS নিজেই দেখছি একটা ক্রিমিনাল | নইলে, এ সব POW! তোর মাথায় আসে কী করে৷ অশোকের জবাবও সেইরকম। পরিষ্কার বলে, 'আমি নিজেই অপরাধী হয়ে fowl করি। দুটো জিনিস তো চাই | ঠিক মতো কাজ হাসিল করা। কোনও কারণেই ধরা না পড়া ।' কিন্তু কোনও অপরাধী একেবারে নিরঙ্কুশ ভাবে কোনও ছাপ না রেখে, অপরাধ করতে পারে A | ধরা সে MSN? অশোকের জবাব, 'এ সব থিয়োরি বাজে। সেকেলে গোয়েন্দা গল্পেই ও সব থিয়োরির কথা শোনা যায়। আজ ALT যত খুন হয়েছে, তার অধিকাংশই ধরা পড়েনি। নেহাত ফালতু চোর ডাকাত না হলে, মাথা ঠাণ্ডা করে কাজ করতে পারলে, কোনও সাধ্য নেই অপরাধীকে খুঁজে বের করে। আসলে, এর জন্য দরকার কল্পনা করার শক্তি আর আইনের পরিবর্তন 1’ ২২



Leave a Comment