রবীন্দ্র-রচনাবলী [খণ্ড-১৪] | Rabindra Rachanabali [Vol.14]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
গ্ৰবী পুরবী atal আমার সাঝ-সকালের গানের দীপে জ্বালিয়ে দিলে আলো আপন হিয়ার পরশ দিয়ে; এই জীবনের সকল সাদা কালো যাদের আলো-ছায়ার লীলা; সেই যে আমার আপন মানুবগুলি নিঙ্জের প্রাণের ম্রোতের পরে আমার প্রাণের ঝরনা নিল তুলি; তাদের সাথে একটি ধারায় মিলিয়ে চলে, সেই তো আমার আয়ু, নাই সে কেবল দ্বিন-গণনার পাজির পাতায়, নয় সে নিশাস-বায়ু। তাদের বীচায় আমার বীচ! আপন সীমা ছাড়ায় বহু দূরে; নিমেষগুলির ফল পেকে ate নানা দিনের Bata রসে পুরে; অতীত কালের আনন্দরূপ বর্তমানের বৃস্ত-দোলায় ছদ্োলে,_ গর্ত হতে মুক্ত শিশু তবুও যেন মায়ের বক্ষে কোলে বন্দী থাকে নিবিড় প্রেমের বাধন দিয়ে । তাই তো যখন শেষে একে একে আপন জনে স্ধ-আলোর অনস্তরালের দেশে আখির নাগাল এড়িয়ে পালায়, তখন fare শীর্ণ জীবন মম শুষ্ক রেখায় মিলিয়ে আসে বর্ধাশেষের fra fat সম শূন্য বালুর একটি প্লাস্তে ক্লান্ত বারি Te অবহেলায় | তাই যারা আজ রইল পাশে এই জীবনের অপরাহ্বেলায় তাদের হাতে হাত দিয়ে তুই গান পেয়ে নে থাকতে দিনের আলো, বলে নে ভাই, “এই ষ দেখা, এই যা ছোওয়া, এই ভালো এই ভালো | এই ভালো আজ এ সংগমে কাল্লাহাসির গঙ্গা-বমুনায় ঢেউ খেয়েছি, ডুব দিয়েছি, ঘট ভরেছি, নিয়েছি বিদায় | এই ভালো রে প্রাণের রঙ্গে এই আসঙ্গ সকল অঙ্গে মনে পুণ্য ধরার ধুলো মাটি ফল. হাওয়া জল তৃণ তরুর সনে | এই ভালো রে ফুলের সঙ্গে আলোয় জাগট গান গাওয়া এই ভাষায়, তারার সাথে নিশীথ রাতে ঘুমিয়ে পড়া নৃতন প্রাতের আশায় |”



Leave a Comment