অগ্নিযুগের ফেরারি | Agnijuger Ferari

দাশ্চন্তা আমাদের গ্রামে গ্রাম সম্পর্কে এক দাদা ছিলেন । বিয়েটা তার আমার জন্মের পূর্বে হয়েছিল কি পরে হয়েছিল, তা বলতে পারব না। তবে জ্ঞান হয়েই বউদিকে দেখেছি। এই বউদিকে দেখা মানে তার পোষা হুলো বিড়ালটাকে দেখা। তাদের বাড়ীতে আমার সবচাইতে তাকর্ষণীয বিষয় ছিল এ মোটাসোটা নিরীহ অহিংস বিড়ালটা | বউদির কোনো Awl ছিল All দাদা বরেন্দ্র শ্রেণীর কুলীন ব্রাহ্মণ | এ অবস্থায় আর একটা বিষে ক'রে বংশরক্ষা করাই সঙ্গত ছিল | কিন্তু দাদা তা করলেন al কেউ বিয়ের কথা বললে উত্তর দিতেন আর একটা বিয়ে ক'রে খেতে-পরতে দেব কোথা থেকে 2 দাদার এই বকৈফিয়তের জবাবে বড় fra একদিন বললেন--তর একটা] বউ এলে পরতে কি দিবি তা জানিনে, কিন্তু এ হুলো বিড়ালট) তাড়িয়ে দিলে আর একটা বউয়ের খাওয়ার যে অভাব হবে না, তা আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি | পিসীমার মন্তব্যে দাদা কি ভাবলেন তা তিনিই জানেন, আমি কিন্তু তখন ভয় পেয়েছিলাম । অমন সুন্দর নাছুশ -মুদুশ হুলোটাকে তাড়িয়ে দিয়ে আবার একটা গোমরামুখী বউদি আসবে ! সর্বনাশ !! AAA] অবশ্য তারপর আরো আট-নয় বছরের মধ্যে ঘটল Al যখন ঘটল তখন আমার বয়স চোদ্দ বছর | কাতিক মাসের এক প্রভাতে শুনলাম বউদিদি কলেরায় মারা! গেছেন । মরার সময় তার হুলোটাকে দাদার হাতে সঁপে দিয়ে গিয়েছেন। সংবাদটা শুনে চিন্তিত হলাম । কিছুদিন পূর্বে এক কথক পণ্ডিতের মুখে শুনেছিলাম, যারা কৃষ্ণ সেবা করেন, তার! মৃত্যুর পর গোলোকে যেয়ে গোয়াল৷ বা গয়লানী হন। যারা নারায়ণ ঠাকুরের ভক্ত, তাঁরা মরে লক্ষ্মীনারায়ণের রূপ ধরে বৈকুণ্ডে যান। যারা দেবতা পুজা! করেন, তারা স্বর্গলোকে যেয়ে দেব-দেবী হন । তাই যদি হয়, তবে বউদি মরে নিশ্চয়ই বিড়াললোকে গিয়েছেন। কিন্‌-তু সেখানে যেয়ে বউদি হুলো হলেন, না মেনী হলেন 1 পুষেছিলেন তো হুলো !