ঝাঁপতাল [সংস্করণ-১ | Jhaptaal [Ed. 1st]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ঝাঁপতাল ৮ নেমন্তন্ন খেতে । তাছাড়া ওসব ঘরে আজ দশ বছর ধরে নেপু ভাড়াটে বসিয়েছে। বড় বড় কামরাগুলোকে পার্টিশান দিয়ে খোপ খোপ বানিয়েছে। বড় উঠোনের জল নিয়ে তারা কি খেঁচার্খঁচিটা করে রোজ, সে না-শুমলে বিশ্বাস হয় না। ছোট একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে অলিমাসিমা আলো নিভিয়ে দেন। অমনি পুবের ছোট জানলা দিয়ে রাশি রাশি টাদের আলো ঢুকে ঘর ভরে দেয়। একটু সৌদা গন্ধ নাকে আসে, জানলার নিচের কাঠের তক্তাটার ওপর ব্যাঙের ছাতার মেলা বসেছে। ছোট ছোট, গোল, লম্বা, চ্যাপটা ; ফিকে সব রং; হলদে, ছাই, গোলাপী, পাটকিলে । কি রূপ তাদের ! অলিমাসিমা একদৃষ্টে চেয়ে থাকেন। হাতের মোজাটা যেন পাঁচ মণ ভারি হয়ে ওঠে ৷ বীকা হয়ে চাঁদের আলো সাদা, সরু বিছানার ওপর এসে পড়েছে। অলিমাসিমা সেখানে পা ঝুলিয়ে বসেন, কোলের ওপর লম্বা গোলাপী রেশমী মোজাখানি পড়ে থাকে । পায়ের পাতাটা ঠাসা অলিমাসিমার সারা জীবনের ABT | পা টনটন করে। ধীরে ধীরে পা দুখানি তুলে খাটের ওপর আসনপিঁড়ি হয়ে অলিমাসিমা বসে থাকেন। মনে মনে আপনা থেকেই হিসেব কষা হতে থাকে । পুরোনো হিসেব, অলিমাসিমার মুখস্থ হিসেব, তবু রোজ একবার না আওড়ালেই নয়। মাসে দশ টাকা হলে বছরে একশ কুড়ি টাকা। দশ বছরে বারো শ। কুড়ি বছরে চব্বিশ শ। চল্লিশ বছরে আটচল্লিশ শ। অলিমাসিমার চল্লিশ বছরের রোজগার । প্রথম ছু বছর অলিমাসিমাকে হাতখরচ দেবার কথা কারো মনে হয় নি। কিন্তু মোজায় আছে সাত হাজার টাকা । সত্তরটা পরিষ্কার এক শ টাকার নোট, ছোট করে আলাদা আলাদা ভাঁজ করা। একটাও



Leave a Comment