For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)গ্রীম্যমমাজের পরিবর্তনের গড়ি ১১ মধ্যবিত্তবঞ্রেণী সেকালের গ্রাম্যসমাজে ছিল এমন কথা বলা যায় না।
গ্রাম্যসমাজের অচল পিরামিডের ভিত্তিভূমি শতকরা নব্ব্ ই জন স্বল্পবিত্ত afte
কৃষকদের নিয়ে গঠিত ছিল | বাকি দশজন বা পনেরজনের মধ্যে জমিদারদের
আমলাব্গ ছাড়া রাজকর্মচারীর| ছিলেন, কারুশিল্লীরা ছিলেন, অবস্থাপন্ন কৃষকরা
ছিলেন এবং ব্রাহ্মণ প্রভৃতি বিভিন্ন কুলবৃত্তিজীবীর| ছিলেন । ব্রিটিশ আমলে
গ্রাম্যসমাজের এই নীরেট পিরামিডের মূলে আঘাত লেগেছিল--রাজস্ববৃদ্ধির
নানারকমের পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা করার ফলে | গ্রাম্যমমাজের শ্রেণীগত রূপের
খানিকটা পরিবর্তন হয়েছিল, পিরামিডটা একটু টলে উঠেছিল, কিন্তু সেটা
ধূলিসাৎ হয়ে যায়নি অথবা গ্রাম্যমমাজের কোন মৌল রূপান্তর হয়নি! অথচ
গ্রাম্যসমাজ-জীবনে বিত্তপ্রাধান্যের জন্য পরস্পরবিরোধী অনেক cate
সঞ্চারিত হয়েছিল, এবং তার ফলে ঘুর্ণাবর্তেরও We হয়েছিল অনেক ৷ সাধারণ
গ্রাম্যমানুষের জীবন পুরাতন ও নতুন জ্রোতের টানাটানির মধ্যে পড়ে বিপর্যস্ত
হয়ে গিয়েছিল | জমিদারণ্রেণীর রূপান্তর * চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বাংলাদেশে একশ্রেণীর নতুন জমিদার we sca
তাদের ভূনম্পত্তিতে চিরস্থায়ী স্বত্ব স্বীকার করে নেয়। ১৭৯৩ সালে “চিরস্থায়ী
বন্দোবস্ত'প্রবতিত হবার আগে এদেশের বনেদী জমিদাররা বাস্তবিক ভুসম্পত্তির
কোন বংশানুব্রুমিক we cuit করতেন কিন), এবং যদি না করে থাকেন
তাহলে তাঁদের.সামাজিক আর্থনীতিক সঠিক ভূমিকা বা রূপ কি ছিল, তাই নিয়ে
ইংরেজ পণ্ডিতদের মধ্যে অনেক আলোচনা SA | হেস্টিংস, As, cotta, কোলত্রক,
হ্যারিটন, ফিলিপ ফ্রান্সিস এবং আরও অনেকে এই আলোচনায় যোগদান
করেন। ১৭৬৫ সালে ইংরেজরা যখন বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার দেওয়ানী লাভ
ক্রেন, তখন থেকে ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রবর্তন পর্যন্ত, প্রায় ২৮
বছর ধরে, শুধু আলোচন! নয়, রাজস্ব-সংগ্রহের নানারকম কৌশলের তিতয়
দিয়ে এদেশের জমিদারদের সামাজিক রূপ বিদেশী শাসকদের কাছে স্পষ্ট হয়ে
ওঠে! এঁতিহাসিক বা eer রূপ যতটা নয়, জমিদার সম্বন্ধে ভাদের নিজস্ব
ধারণাগত HAS তার চেয়ে অনেক বেশি তাদের কাছে বাস্তব সত্যরপে প্রতিভাত
হতে থাকে । এই ধারণাগত রূপ অবশ্য ইংরেজদের প্রশাসনিক স্বার্থগত রূপ ।