রবীন্দ্র-সমীক্ষা | Rabindra-samiksha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
রবীজনাথের মানবধম > লাগছে, আমেরিকায় গিয়ে মনটা চাপ! পড়ে, ইয়োরোগে তা মুক্তি পায়” এই ধরণের মন্তব্য এই mene প্রায়ই পাওয়া যায়। ১৮ই অগস্ট, ১৯৩* তাঁরিখান্কিত এক পত্রে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বমানবসংঘ-প্রসঙ্গে লিখেছেন, '+বিশ্বজাতীয়তার উদ্যম সঙ্ঘীতৃত ₹য়ে উঠেছে জেনিভায়। লীগ অফ নেশনে ঠিক wa বাজে নি--হয়তো বাজবেও না--কিন্ক আপনা আপনিই ওই শহর সমস্ত জগতের মহানগরী হয়ে উঠছে। যাদের প্রকৃতি বিশ্বপ্লাপ তার] আপনা আপনি Sara এসে মিলবে । ওঁ ক্ষেত্রে বর্তমান যুগের একটা মহাকল্যাণ- “fea উদ্বোধন ঘটছে বলে আমার বিশ্বাস ।* gee বিশ্বের সঙ্গে পরিচয়ের ফলে রবীন্দ্রনাথ কী ভাবে বিশ্বমানবতায় বিশ্বাসী) হয়ে উঠেছিলেন তাঁর প্রমাণ উপযুক্ত রচনানিচয়ে পাওয়া যায় । জাগরণের অর্থ যদি এই হয় যে ক্ষুদ্রের ও সংকীর্ণের বন্ধন থেকে মুক্তি, তাহলে স্বীকার করতে হয় রবীন্দ্রনাথ চল্লিশ থেকে সত্তর--জীবনের এই তিরিশ রৎসর কেবলই casi ভেঙেছেন, নিজেকে বারবার অতিক্রম করেছেন, বৃহৎ থেকে বৃহত্তরে যাত্রা করেছেন। প্রথম যৌবনের জাতীয়তাবাদ ও স্বদ্বেশপ্রেম, তারপর উপনিষদবাদ, তারপর তপোবন ও আনম্দবাদ, srw সমাজ নির্দিষ্ট ব্রক্কোপাসনা, জীবনে ও কর্মে ব্রস্মোপলক্কির সাধনা--সবই রবীজ্্রনাথ অতিক্রম করেছেন, শেষ Ge মানব-এক্যবোধে উপনীত হয়েছেন । সতোর BS প্রেরণা বারবার পরিবর্তিত হতে হতে শেষ Ake বিশ্বমানবতায় পৌঁচেছে---রবীন্দ্রনাথের এই শেষ ও স্যোত্তম সন্ধ্যোপলক্কধি। রবীন্দ্রনাথ শেষদিকে গল্প-কবিতা-উপন্যাস ও ছবিতে যেরকম দেশকালের গঞণ্ডীকে অতিক্রম করে মননপন্থী ও অমূর্তপন্থী হয়ে উঠেছিলেন, সমাজচিস্ত! set মানবচিস্তার ক্ষেত্রেও সেরূপ অগ্রসর হয়েছিলেন | পঞ্চমবার ইয়োরোপ ভ্রমণের পর কবি দেশে ফিরলেন ১৯৩১ গ্রীষ্টা্বে “রাশিয়ার চিঠি' ( ভ্রমণপত্রালি ), কালের যাত্রা (নাটিকা), পুনশ্চ (গদ্য- কাব্য), Religion of Man (অন্পফোর্ড fearb-agei), মানুষের ধর্ম (কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমলা-বক্তৃতা)। উনিশ শতকে বাংলা দেশের নবজাগরণের ফলে বাঙালি বিশ্বপথে আাত্মাবিষ্কারে ব্বেরিয়েছিল। সে-মন্কান সার্থকতা লাভ করেছে রবীজ্নাথে। তিনি বাঙালিকে বিশ্বপথিক-ধর্মে তথা মানবধর্মে পূর্ণ দীক্ষা দিয়েছিলেন ৮



Leave a Comment