For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)পীরিতি রশিতে বাঁধিয়া টানো।
টানো হে!
ধূলায় পড়ে, কাঁটায় ফুটে
রক্ত ঝরে, জ্বালায় পুড়ে,
মরিব, তবু টানো হে aa!’ অনেকক্ষণ গাইল ভামিনী। কিন্তু তেমন সাড়া-শব্দ পড়ল না। নিজেকে বড় ক্লান্ত লাগল
ভামিনীর। ঠোট শুকিয়ে উঠতে লাগল। চোখের কটাক্ষে সেই রং ফুটছে না। সুরের দোলায়-
দোলায় হাত উঠছে না তেমন করে। এক-ফাঁকে বাইরে এল। MAR বলল, “কী হয়েছে তোমার, CHB?’ —‘ (Pq? -_'গলায় যে তোমার বয়সা ধরেছে।' SHAT?” হেসে উঠল ভামিনী। বলল, 'এ-বয়সে আবার বয়সা কী বাবাজি? সে তো
ছেলেমানুষের ACH রাখহরি বলল, “এ-বয়সেও ধরে গো! গলায় তোমার দো-আঁশলা জট পাকাচ্ছে কেন?” দো-আঁশলা জট! আচমকা শীতের কাপ ধরে গেল যেন ভামিনীর বুকে। হেসে বলল,
“একটু চা খেয়ে নিতে ACA রাখহরি ভামিনীর আপাদমস্তক Sh চোখে দেখে হঠাৎ মিষ্টি হেসে বলল, 'থাক AT
এবার না-হয় থাক। তোমার রাধাকে গাইতে দাও। দেখা যাক, কেমন শিখেছে।' রাখহরির
চোখের দিকে তাকিয়ে ভামিনীর রাঙা শুকনো ঠোটও বেঁকে উঠল। কিন্তু গাইতে বলল
MATHS | রাধা Si তুলে, ঠোট ফুলিয়ে গাইল : 'আমারে, অবলা পেয়ে বুঝিয়ে সুঝিয়ে
বাঁধিলে পীরিতি ফান্দে!
অতি অভাগিনী কুট নাহি জানি
ফান্দ খোলে কি ছান্দে।” গলা একটু খরো। কিন্তু কাচা গলার চড়া সুরে, আর কাঁচা বয়সের কিশোরী ঠমকে আসর
গুনগুন করে উঠল। কোথায় ছিল আসরের এই হাসি ও আনন্দাশ্রু? অন্ধকার চেপে আসছে কৃষ্ণভামিনীর মুখে। তবু হাসছে। শীত, বড় শীত গুর-গুর করে
কেঁপে উঠছে বুকের মধ্যে! কেন? চুলের মুঠি ধরে যাকে শিখিয়েছে, সেই রাধার গুণে
বলিহারি যাচ্ছে সব। তার সুদের এঁশ্বর্য। স্বয়ং মোহিনী মল্লিক মহাজন আশীর্বাদ করলেন ভামিনীকে, 'বাঃ বেশ! শুধু ত্মাখেরের
স্বার্থে এমনটি শিখুনো যায় না, মা। তুমি সত্যিকারের আখেরের কাজ BAR’ বড় সুখ, তবু মুচড়ে-মুচড়ে ওঠে FH | ফীর্তন-গায়িকা কৃষ্ণজামিনী আর নেই, আখেরের
কাজ আছে। এমন মহাজন কেন হল না ভামিনী, যে সুদের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে। ১৯