For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)২০ বাঙালি জাতি ও বাংলা ভাষা শেষপর্যন্ত এই বলপ্রয়োগের মাধ্যমগুলিকেই নিজেদের শাসনক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে
ব্যবহার করে। কিন্তু এ ধরনের সরাসরি শত্রুতার ক্ষেত্রে সবসময় একটা আশঙ্কা থেকে
যায়। সংগঠিত বিরোধী আক্রমনের সামনে বলপ্রয়োগের ক্ষমতা যথেষ্ট নাও হতে পারে।
শাসকশ্রেণি সেজন্যই, বলপ্রয়োগের বিষয়টিকে শেষ অস্ত্র হিসাবে রেখে, বলপ্রয়োগ
ছাড়াই শাসন ব্যবস্থা চালানো চেষ্টা করে। 'উপরি কাঠামো' শাসকশ্রেণিকে এই কাজেই সাহায্য করে। শাসকশ্রেণিকে শাসন
ক্ষমতা অটুট রাখার শান্তিপূর্ণ বিকল্প জোগায়। আয়ত্তাধীন, শোষিত জনগণের মগজ
ধোলাই করে শাসকশ্রেণির কর্তৃত্ব মেনে নিতে বাধ্য করে। শাসকশ্রেণির বিশ্বাস, আদর্শ
এবং দৃষ্টিভঙ্গিকে, যা শাসকশ্রেণির স্বার্থে, জনগণ নিজেদের বিশ্বাস, আদর্শ এবং দৃষ্টিভঙ্গি
হিসাবে গ্রহণ করে। সব সমাজেই নিম্নবিত্ত সমাজের মানুষকে উচ্চবিত্ত সমাজের
মূল্যবোধ, জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্যাসের দ্বারা প্রভাবিত হতে দেখা যায়। এই ধরনের
মূল্যবোধগুলির প্রভাব বিস্তারের অন্যতম মাধ্যম বিদ্যালয় শিক্ষাত্রম। রাষ্ট্রীয় এবং
অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলি অনুসৃত নিয়মাবলি বা আচরণের মাধ্যমে, প্রতিষ্ঠিত আইনের
মাধ্যমে, শাসক শ্রেণি তার প্রভাব বজায় রাখে। কীভাবে সমাজের বিভিন্ন অংশের মধ্যে
সম্পর্ক গড়ে উঠছে-_কোনটা ঠিক কোনটা ভুল-_-ভুল করলে শাস্তি আর ঠিক কাজে
পুরস্কার--এই মূল্যবোধগুলি সমাজের সমস্ত স্তরে সঞ্চারিত হয়। শিল্প, সাহিত্য বা
গণমাধ্যমও, শ্রেণি শাসকদের, সমাজের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে নৈতিক এবং আবরণগত
সমন্বয় গড়ে তুলতে সাহায্য করে। যতক্ষণ সামগ্রিক সংস্কৃতির প্রভাব অটুট থাকে, রাষ্ট্রের
বলপ্রয়োগের ক্ষমতায় লাগাম পড়ানো থাকে। শান্তিপূর্ণ উপরিকাঠামো ভিত্তিক শাসন
ব্যবস্থা যখন তার কার্যকারিতা হারায় তখনই রাষ্ট্র তার সন্ত্রাসের অস্ত্র প্রয়োগ কবে। এঁতিহাসিক বস্তবাদকে ভিত্তি করে আমাদের বর্তমান আলোচনা বিভিন্ন তথ্য ও
ঘটনা প্রবাহের বস্তনিষ্ঠ মূল্যায়ন। এই মূল্যায়নের সময় আমরা সবরকম আবেগ,
সবরকম অনুভূতি বর্ধন করার চেষ্টা করেছি। আঞ্চলিক, সাম্প্রদায়িক, দেশাত্মবোধক
কোনও অনুভুতি যেন যুক্তিবোধকে আচ্ছন্ন করতে না পারে-_সে সম্পর্কে সচেতন
থেকেছি। এই গ্রছে আমরা বিতর্ক এড়িয়ে যাইনি বরং বিতর্কে ভাগ নিয়েছি, উপভোগ
করেছি। বাংলার সংজ্ঞা ত্রয়োদশ শতকের আগে পর্যন্ত 'বাংলা' বলে যে বিশেষ ভূভাগ বোঝায় তার কোনও
প্রাতিষ্ঠানিক অস্তিত্ব ছিল ati পশ্চিমবঙ্গ আর বাংলাদেশকে নিয়ে যে GSI তা বু
রাজ্যে বিভক্ত ছিল। এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিল “গৌড়”। ১২০৪ সালে বখতিয়ার
খিলজির বঙ্গবিজয়ের বেশ কয়েক যুগ পরে এক রাজ্যের অধীনে আসে। এরপর যখনই
সুযোগ এসেছে, বাংলার বিভিন্ন শাসকরা তাদের নিজেদের সীমানা বাড়িয়ে নেবার চেষ্টা
করেছেন। আজকের ওড়িশা, অসম আর বিহারের কিছুটা Pot তাদের দখল কায়েম
করতে চেষ্টা করেছেন। কখনও সফল হয়েছেন, কখনও হননি। একইভাবে প্রতিবেশী