ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর | Ishwar Chandra Vidyasagar

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সমস্যার সম্মুখীন 9 শিক্ষা । বিদ্যাসাগরের আজাঁবন চেষ্টা ছিল এই ছুই জগতের মধ্যে মিলন সেতু রচনা করা | তখনকার দিনে সমাজে জাতিভেদ প্রথা কতটা যে দুরূহ ছিল তা এই উদাহনণ থেকে বোঝা যাবে। সংস্কৃত কলেজে কেবলমাত্র ব্রাহ্মণ ও বৈদ্য ছেলেদের প্রবেশাধিকার ছিল । স্পষ্টই বোঝা যায় এর কারণ হল আমাদের দেশের সনাতন বিশ্বাস, যে একমাত্র দ্বিজদেরই প্রাচীন শাস্ত্র পড়ার অধিকার আছে ৷ হিন্দু কলেজে মুসলমান ও Wa ছাত্রদের ভর্তি করা হত না কিন্তু সব জাতের হিন্দু ছেলেদের প্রবেশাধিকার ছিল । আরও একটা কথা, দুটি কলেজ একই বাড়ির ছুই অংশে অবস্থিত হলেও একটা লোহার রেলিং দিয়ে তাদের আলাদা করা ছিল । যেন দুই কলেজের ভাবধারার পার্থকাকে বাস্তব বিভেদ দিয়ে মূর্ত করে রাখা হয়েছিল । এই অর্থহীন জাতিভেদের AHS তথা জ্ঞান ও শিক্ষার উপর বাধা-নিষেধ তরুণ বিদ্যাসাগরকে নিশ্চয়ই ব্যথিত করেছিল কারণ পরে সংস্কৃত কলেজের কর্তৃত্ব পেয়ে প্রথমেই তিনি এই জাতিভেদের বিধি-নিষেধ তুলে দিয়েছিলেন | সংস্কৃত কলেজে বার বৎসরের ছাত্র জীবনে ঈশ্বরচন্দ্র প্রথম থেকে শেষ OTS অসামান্য কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন এবং অনেক WEA ও বৃত্তি পেয়েছিলেন | AES WD ও AD রচনা করেও তিনি কয়েকটি "aera পান । সে সময়ে সংস্কৃত কলেজে প্রাথমিক ইংরাজী শিক্ষা দেওয়া হত ৷ বিদ্যাসাগর ইংরাজীতেও ভাল ফল দেখিয়েছিলেন । কিন্তু ১৮৩৫ সাল থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ ইংরাজী শিক্ষা বন্ধ করে দেবার সিদ্ধান্ত নেন । অতএব সঈশ্বরচন্দ্রের ইংরাজী শিক্ষা বেশীদূর অগ্রসর



Leave a Comment