আশুতোষ মুখোপাধ্যায় রচনাবলী [খন্ড-৩] | Ashutosh Mukhopadhyay Rachanavali [Vol. 3]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
কল্ববতী রা আরাবল্লী পাহাড়টা দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে উত্তর-পূর্ব পর্যস্ত সমস্ত রাজস্থানকে যেন মাঝামাঝি চিরে দিয়ে গেছে। উত্তর-পূর্ব পাহাড়ের গা ঘেঁষে প্রায় টঙের ওপর বসে আছে ভরতপুর। ছোট জায়গা। সকালের ঘুমভাঙা চোখ আকাশের দিকে চাইতে গেলে প্রথমেই পাহাড়ের গায়ে চোখ আটকে যায়। একে তাকে জিজ্ঞাসা করতে বাড়িটা খুঁজে পাওয়া গেল ৷ অবশ্য যাকেই জিজ্ঞাসা করেছি সেই নিশানা বলে দিয়েছে। আমার কাছে সবই নতুন বলে হদিশ পেতে সময় লাগছিল | তবু এ জায়গায় ভদ্রলোকটির নাম আছে বোঝা গেল । চার দিকে পরিচ্ছন্ন বাগান | মাঝখানের লাল মাটির রাস্তাটা একেবারে বাড়ির সিঁড়ির গায়ে গিয়ে ঠেকেছে | গৃহস্বামীর নাম মাধব EA | আমার পরিচিত নন, কখনো দেখিওনি তাঁকে । আমার বিশেষ একজন পরিচিত ভদ্রলোক তার অন্তরঙ্গ TH) ভরতপুরে এঁর সঙ্গে শুধু দেখা করার জন্যেই সরির্বস্ধ অনুরোধ করেননি, সঙ্গে চিঠিও দিয়েছেন। শুনেছি, প্রাক্স্বাধীনতায় স্টেটের পদস্থ রাজকর্মচারী ছিলেন মাধব চতুর্বেদী। এখন অবসর নিয়েছেন। এ জায়গায় একদিন থাকব কি সাত দিন, নিজেও জানতাম না । ভালো আস্তানা পেলে আর ভালো লাগলে দিন কতক কাটাতে পারি। নয়তে সেইদিনই তল্লি-তল্লা গোটাতে পারি। মোট কথা, অবসরপ্রাপ্ত কোন ভদ্রলোকের ঘাড়ে চেপে বসার ইচ্ছে আমার আদৌ ছিল at) SY প্রথমেই এঁর কাছে এলাম, কারণ, স্থানীয় অভিজ্ঞ কারো কাছে জায়গাটার সম্বন্ধে একটা মোটামুটি আভাস পাওয়া দরকার | ফটকের মধ্যে ঢুকে পড়ে এতবড় বাগানঘেরা এমন ছবির মত বাড়িটার দিকে এগোতে এগোতে অস্বস্তি অনুভব করছি। পরনের খাকী ট্রাউজার, ছিটের বুশ শার্টের মলিনতা যেন বেশি করে চোখে পড়তে লাগল নিজেরই | কাঁধের খাকী ঝোলার মধ্যে যা আছে তাও এমন বাড়িতে খুব চলনসই নয়। পায়ে পায়ে সিঁড়ির কাছে এসে দাঁড়ালাম । সিঁড়ির পরে প্রশস্ত বারান্দায় এক প্রস্থ টেবিল conta এদিকে ওদিকে তাকাচ্ছি, চাকরবাকর যদি কাউকে দেখতে পাই। বারান্দার ওধারে ঘর থেকে একজন মহিলার সঙ্গে দৃষ্টি-বিনিময় ঘটল | দুই এক মুহূর্ত | মহিলা সরে গেলেন ৷ একটু বাদেই তিনি ঘর থেকে বেরুলেন আবার ৷ এবার শাড়ির ওপর গায়ে মাথায় বুকে একটা ঘন আকাশী রঙের ওড়না আষ্টেপ্ষ্ঠে জড়ানো । শুধু কপাল থেকে চিবুক পর্যন্ত অনাবৃত ৷ ধীর শাস্ত পায়ে কাছে এসে দাঁড়ালেন। এমন ৬



Leave a Comment