তিন প্রহর | Tin Prahar

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
একটা রাতের মত ভাব ফুটে ওঠে। সে ভাবে গিয়ে বসে পড়বে। কিন্তু তার পা দুটো তার ইচ্ছাকে এড়িয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলে । ঘরটার যেন শেষ নেই ৷ চারিদিকে উঁচু উচু র্যাকগুলোয় fea জড়ের স্তুপ । ছায়া ঝুল ধুলো মাকড়সার জালে ঢাকা। কয়েকটা ইাড়ির মত পুরানো সেকেলে পাঁথা মাথার উপর কেবল ঘড় ঘড় আওয়াজ করে ঘুরতে থাকে। একটানা ঘড় ঘড় আওয়াজ থেমে পেমে--তার শ্রবণকে আরও Spr করে তোলে ৷ সে আস্তে আস্তে মাঝের টেবিলটার কিছু দূরে এসে দাড়িয়ে থাকে । ল্লায়বাবু কি একটা কাগজে পসথম করে লিখছিলেন একমনে | তিনি তার এসে দাড়ানো টের পেয়েছেন বলে মনে হয় না। কেউ টের পায়নি হয়ত। তার হৃতৎপিও এমনি আঘাত করছে পাজরার (দেওয়ালে | আবার ফিরে গিয়ে টেবিলটায় বসে পড়লেই মিটে যায়। সে আস্তে আস্তে পিছন কিরে এগোতে CE SIN তার মনে হুয়--মে তরু বসতে পারবে না গিয়ে--একটা কিসের মানা উঁচিয়ে ওঠে সামনে । সাবধ|নে ফিরে চাইবার চেষ্টা করে সে জানালার ধারে টেবিলের face | রায়বাবু স্থির wees sta এগিয়ে যাওয়া লক্ষ্য করছিলেন এতক্ষণ | সে জানতে পারেনি । তার মনে হয় তিনি আগাগোড়াই চেয়ে ছিলেন | তার দ্বিধারস্ত পায়ের ওঠা পড়া তার চোখ এড়ায়নি। গলায় একটা ere ছড়িয়ে পড়তে সে অঙন্গভব করে। আবার ফিরে আসে সম্মেহিতের মত সেই দষ্টির রেখা ধরে। টেবিলের সামনে এসে দাড়ায় থমকে | —fe মনে করে 1--একটা কর্কশ রুক্ষ স্বর তার কানে এসে ঘা মারে। সে কোন জবাব দেবার চেষ্টা করে না। কিছুক্ষণ চেয়ে থেকে তিনি আবার বলেন,--এই মাসে তিনবার লেট হয়েছ । তোমাকে দিয়ে কোম্পানীর চলবে না। অকর্মণ্য লোক দিয়ে-- বলতে বলতে থেমে যান তিনি। তার মুখের দিকে চেয়ে অমানুষিক বিতৃষ্ণায় মম ভরে ওঠে যেন-_-তার ঝুঁকে পড়া শরীরটা মনে হয় যেন মানুষের মুতিকে ব্যঙ্গ করে। --টাড়িয়ে রয়েছ কেন? চলে যাও--তিনি চীৎকার করে ধমকে ওঠেন I শান্তনু বুঝতে পারে না কোথায় যেতে বলা হয়েছে তাকে। সে না বোঝার চোখে তাকিয়ে থাকে । একজন প্রৌঢ় লোক পাশের টেবিল থেকে উঠে এসে তাকে বলেন-_তোমার জায়গায় গিয়ে Fie কর। রায়বাবু বলছেন-_ ১৫



Leave a Comment