প্রথম প্রতিশ্রুতি | Pratham Pratishruti

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
প্রথম প্রতিশ্রুতি ১৫ নামের বিপরীত ভঙ্গীতে বলে উঠলেন, “দিয়েছিলি তো সে জল গেল কোথায় রে হতভাগা? গেলাস একেবারে শুকনো 7” প্রশ্নকত্রী ঠাঁকুমা। বুকের গুরু-গুরু ভাবটা কিঞ্চিৎ হাল্ক। মনে হল, কা ক্ষীণম্বরে বলে বসল, “গাকুর থেয়ে নিয়েছে বোধ হয়” “কী? কী বললি?” আর একবার ঠক করে একটা শব, আর চোখে অন্ধকার হয়ে যাওয়ার আরও গভীরতম ashes | “লক্ষ্মীছাড়া» শুয়োর, Taal! ঠাকুর জল cacy নিয়েছে? শুধু ভূত হও নি তুমি, শয়তানও হয়েছ। ভয় নেই প্রাণে তোমার? ঠাকুরের নামে মিছে কথা 1" অর্থাৎ মিথ্যা কথাটা যত না অপরাধ হোক, ঠাকুরের নামের সঙ্গে জড়িত হয়ে ভীষণ অপরাধে পরিণত হয়েছে। রামকালী ভয়ের বশে আবারও মিছে কথা বলে বসে, “হ্যা, সত্যি বলছি! ঠাকুরের নামে দিব্যি! দিয়েছিলাম wey |” “বটে ca হারামজাদা ! বামুনের ঘরের Brot! ঠাকুরের নামে দিব্যি? জল দিয়েছিস তুই? ঠাকুর জল cacy ফেলেছে? ঠাকুর খায় জল 1" মাথার মধ্যে জ্বলছে! রামকালী মাথার জ্বালায় অস্তির হয়ে সমস্ত ভয়:ডর ভুলে বলে বসল, “খায় না জানো তো দাও কেন ?” “ও, আবার মুখে মূখে চোপা ?”” জয়কালী আর একবার শেষবেশ খড়মটার সদ্ব্যবহার করলেন। করে বললেন, “যা দূর হ, বামুনের ঘরের গরু! দুর হয়ে যা আমার স্থমুখ থেকে |” এই! এর বেশী আর কিছুই করেন নি জয়কালী! আর এরকম ব্যবহার তো তিনি সর্বদাই সকলের সঙ্গে করে থাকেন! কিন্তু কিসে যে কি হয়! রামকালীর চোখের সামনে থেকে যেন একটা পর্দা খসে গেল । চিরদিন জেনে আসছে জনার্দন বেশ একটি দয়ালু ব্যক্তি, কারণ কারণে অকারণে উঠতে-বসতে বাড়ির সকলেই বলে “জনার্দন, দয়া scaly’ কিন্ত কোথায় সেই দয়ার কণিকামাত্র! রামকালী যে মনে যনে প্রাণ ফাটিয়ে চীৎকার করে প্রার্থনা করণ, "ঠাকুর!



Leave a Comment