বইয়ের লেখক
বইয়ের আকার
20 MB
মোট পৃষ্ঠা
292
ধরণ
For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)১২ গৌড়ীয় বৈষ্ণব wg (৭) বৈধীমার্গে শ্রবণ, কীর্তন, বিগ্রহ yor প্রভৃতি উপাসনার
বিভিন্ন অঙ্গ ভক্তের প্রতি প্রযোজ্য ৷ রাগমার্গে এগুলি প্রথমাবস্থায়
বাঞ্ছনীয় কিন্তু সেখানে শ্রেষ্ঠ সেবা মানসিক, জীবভক্ত কল্পনায়
কোনও ব্রজপরিকরের আনুগত্যে wy সখ্য বাৎসল্য ভাবে কিন্বা
নিজেকে স্ত্রীলোক কল্পনায় মঞ্জরীভাবে প্রেমলীলায় রাধাকৃষ্ণের সেবা
করবেন | কল্পনাতেও অপরোক্ষ সেবা বা সাক্ষাৎ সম্বন্ধ-কল্পনা
নিষিদ্ধ | বৈধীমার্গে নবধা ভক্তির উল্লেখ আছে ভাগবতে | তামিল
আড়বাররা দাস্য সখ্য বাৎসল্য ও মধুরভাবে কৃষ্ণসেবা করেছেন |
গৌড়ীয় বৈষ্ণবের বৈধী ও রাগানুগা মার্গের সহিত বল্লভাচার্য
সম্প্রদায়ের মর্যদা মার্গ ও পুষ্টি মার্গের অসামান্য সাদৃশ্য আছে ৷ এই
মতে ভক্তির মধ্যে শ্রেষ্ঠ পুষ্টিভক্তি যা সম্পূর্ণ ভগবৎ-অনুগ্রহ-নির্ভর |
সর্বস্ব কৃষ্ণে সমর্পণ ক'রে পত্নীতাবে নিত্য রসাবেশে বাস করা পুষ্টি
মার্গের শ্রেষ্ঠ সাধনা ৷ প্রয়াগের নিকটবর্তী আড়াইল গ্রামে
বল্পভাচার্যের সহিত চৈতন্যের সাক্ষাৎ হয়েছিল কিন্তু আলোচনার
কোনও বিবরণ চরিতকার লেখেন নি ৷ পরে পুরীতে পুনর্বার সাক্ষাৎ
হয়েছিল কিন্তু চৈতন্য আলোচনা করতে wage হয়েছিলেন |
বল্পভাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবার আগে চৈতন্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ
হয়েছিল রামানন্দ রায়ের, সুতরাং রাগানুগা wef দাস্য সখ্য
বাৎসল্য ও মধুর ভাবে উপাসনার প্রথম কথক রামানন্দ | চৈতন্যের
অনুরোধে তিনি এর সবিশেষ ব্যাখ্যা করেছেন, এবং ক্রমিক উৎকর্ষ
বর্ণনা করেছেন, যা ব্যঞজ্জিত হয়েছে চৈতন্যচরিতামৃতে ।৯৭ রামানন্দ
রাধাপ্রেমকে সর্বসাধ্যসার বলেছেন এবং উপদেশ দিয়েছেন সখীভাবে
সাধনার 1% চৈতন্যের VSS রাথাভাব বলা হয় কারণ উদ্ধব-
দর্শনে বিরহিণী রাধার যে মহাভাব লক্ষিত হয়েছিল সেটি শুধু
চৈতন্যে দেখা facies কিন্তু দিব্যোশ্মাদ অবস্থায় যখন তিনি
কৃষ্ণকে দেখেছেন তখন রাধিকাকেও দেখেছেন স্বপ্নেও নিজেকে
রাধার স্থানে দেখেন নি, অতএব সখীভাবে সাধনার উপদেশ তিনি
মেনে নিয়েছেন | বোধ হয় এ কারণেই গৌড়ীয় বৈফব সমাজে
রাধাভাবে সাধনা নিষিদ্ধ এবং সখীদের এত প্রধান্য । রাধাতাব
AYA, এ ভাবে সাধন করবার কোনও বিধান নাই, অতএব এটি
অনুষ্ঠান বর্জিত ৷ রাগানুগা-মার্গে গোপীভাবে সাধনাই গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মে শ্রেষ্ঠ-
বিবেচিত, এবং এই নির্ধারণটি রামানন্দ রায়ের ৷ রূপগোষস্বামী
এবং রঘুনাথ দাস সখীভাবে সাধনার বাসনা বহু শ্লোকে বর্ণনা
করেছেন | রামানন্দ বলেছেন রূপ গোস্বামীর রচনা তার নিজের
প্রেমভক্তি ব্যাখ্যানের অনুযায়ী > বৃন্দাবনের গোস্বামীরা মঞ্জরী
কথাটির সৃষ্টি করেন নি, এ কথাটি উদ্ভাবন করেছেন বঙ্গদেশের