For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)২০ আমি বিবেকানন্দ বলছি প্রাইমারি স্কুলে যৎসামান্য পাটিগণিত, কিছু সংস্কৃত ব্যাকরণ, একটু ভাষা
এবং হিসাব শিক্ষা দেওয়া হতো। বাল্যকালে এক বৃদ্ধ আমাদের নীতিবিষয়ক একটি ছোট্ট বই মুখস্থ
করিয়েছিলেন, তার একটি শ্লোক এখনও আমার মনে তাছে : 'গ্রামের জন্য
পরিবার, স্বদেশের জন্য প্রাম, মানবতার জন্য স্বদেশ এবং জগতের জন্য সর্বস্ব
ত্যাগ করবে!' এইরকম অনেক শ্লোক ওই বইতে ছিল। আমরা ওইগুলি মুখস্থ
করি এবং শিক্ষক ব্যাথা করে দেন, পরে ছাত্রও ব্যাখ্যা করে।১* যে কবিতাটি স্কুলে প্রথম দিকে আমাকে শেখানো হয়, তা হ'লো : “যে মানুষ সকল নারীর মধ্যে তার জননীকে দেখতে পায়, সকল মানুষের
বিষয়-সম্পত্তিকে একগাদা ধুলোর মতন দেখে, যে সমগ্র প্রাণীর মধ্যে তার
নিজ-আত্মাকে দেখতে পায়, সেই প্রকৃত জ্ঞানী'।১২ কলকাতায় স্কুলে পড়ার সময় থেকেই আমার প্রকৃতি ধর্মপ্রবণ ছিল। কিন্তু
তখনই সব জিনিস পরীক্ষা করে নেওয়া আমার স্বভাব ছিল-_-কেবল কথায়
আমার তৃপ্তি হত না।*১* সারাজীবন ঘুমের জন্য চোখ মুদ্রিত করলেই আমি cag অপূর্ব এক
জ্যোতিব্বিন্দু দেখতে পেতাম এবং একমনে আমি নানারকম পরিবর্তন লক্ষ্য
করতে থাকতাম। দেখবার সুবিধা হবে বলে লোকে যেভাবে মাটিতে মাথা
ঠেকিয়ে প্রণাম করে, আমি সেইভাবে শয়ন করতাম। সেই অপূর্ব বিন্দু
নানাবর্ণে পরিবর্তিত ও বর্ধিত হয়ে ক্রমে বিশ্বাকারে পরিণত aq এবং
পরিশেষে ফেটে গিয়ে আপাদমস্তক শুভ্র-তরল জ্যোতিতে আমাকে আবৃত
করে ফেলত !--ওইরকম হওয়ামাত্র চেতনালুপ্ত হয়ে আমি নিদ্রাভিভূত হতাম!
আমার ধারণা হয়ে গিয়েছিল, ওইভাবেই সকলে ঘুমোয়। বছকাল পর্যন্ত ওই
Sey ধারণা আমার ছিল। বড় হয়ে যখন ধ্যানাভ্যাস আরম্ভ করলাম, তখন
চোখ মুদ্রিত করলেই ওই জ্যোতির্বিন্দু প্রথমেই আমার সামনে এসে উপস্থিত
হত এবং ওই বিন্দুতেই আমি চিত্ত একাগ্র করতাম। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের
উপদেশে কয়েকজন বয়স্যের সঙ্গে যখন নিত্য ধ্যানভ্যাস করতে লাগলাম,
তখন ধ্যান করবার সময় কার কিরকম দর্শন ও উপলব্ধি হয় তা নিজেদের
মধ্যে আলোচুনা করতাম। ওই সময়ে ওদের কথাতেই বুঝেছিলাম, ওইরকম
জ্যোতিদর্শন তাদের কখনও হয়নি এবং কেউই আমার মত উপুড় হয়ে নিদ্রা
যায় না!”ং