For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)দুদ্প্রাপ্য বাংলা সাহিতা-২ পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবেই স্ট্রীস্বাধীনতাসহ অন্যান্য নারী-পুরুষ সাম্য জাতীয় দাবি
তৈরি হয়েছে, এই বক্তব্য হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভাবনার চালু উপাদান। যে নারী
পুরুষের ছবি এই উপন্যাসের সূচনায় রয়েছে, তা আমাদের একান্নবর্তী
পরিবারবেষ্টিত প্রথাগত নারী-পুরুষের চেহারা নয়, তা যেন অনেক বেশি
আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত নব্যনারীর আর্কেটাইপের কাছাকাছি। সমকালীন
পত্রপত্রিকায়, প্রহসনে, নাটকে, নভেলপড়া, পরিবারবিচ্ছিন্ন উচ্ছ্্খল স্বাধীনতার
আকাঙক্ষী যে নাবীকে বিদ্রুপ করা হয়েছে 'অস্তুত স্বপ্ন -র নারীচরিত্রটিও যেন
PSP) তারই প্রতিরূপ। সমকালীন প্রখ্যাত কবির কবিতায় পাই এই কৃত্রিম,
অস্তঃসারশুন্য বাহ্যিক শিক্ষায় অহংকারী নারীর উপস্থাপনা.
নগরের স্ট্রীশিক্ষা হয়
তায় কিবা ফলোদয় !-_
সৌধ fra দীপ কিন্তু ভিতরে আস্ধার--
att বেশভুযা পরা
ভিতরে বিকার ভরা
কবরের পরে চারু প্রাসাদ প্রকার !--
অন্বেষিয়া পাই শব অভ্যস্তরে তার ।*”
লেখকের বক্তব্যের মূল কেন্দ্রে রয়েছে এক সহজাত নারী-পুরুষ বৈষম্যের ধারনা,
যা পাশ্চাত্য সাম্য-স্বাধীনতার' তৎকালীন আলোকায়িত মূল্যবোধকে, নাকচ করে
গড়ে উঠেছে। কিন্তু এক্ষেত্রে পুরুষের যুক্তিপ্রয়োগ পদ্ধতি বহুলাংশে পাশ্চাত্য
rcason-44 আদলে গড়ে উঠেছে, পুরুষ বলেছে “তোমার মূল সূত্র (Axioum)
ভুল হইতেছে।” বৈষম্যের স্বপক্ষে পুরুষের অভিমত:
যদি...দেখাইতে পার এক কালে স্ট্রীজাতি পুরুষের পদবীতে ও পুরুষ
স্ত্রীজাতির পদবীতে wind ছিল wlel হ২লপে আমি কখনই Ais অবলা
বলিতে পারিব না। যদি ঈশ্বর সকলকেই সমান করিয়াছেন' এই কল্পিত
মতের উপর বিশ্বাস মাত্র করিয়া স্ত্রীকে পুরুষের সহিত সমান বল তাহা
হইলে BIN মেযকে সিংহ ব্যাঘ্রের সমান বলিতে. হয়...তুমি কিসে বুঝিলে যে
ইতরপ্রাণী রাজ্যে বৈষম্য প্রচার করিলে পরমেশ্বরের সমদশী নামের কলঙ্ক
হয় না? . স্পষ্ট, দেখা যইতেছে জগৎ বৈষম্যময়, যে দিন জগতে পূর্ণ সাম্য
বিরাজিত হইবে সে দিন সৃষ্টির লোপ হইবে- সকলই আকাশময় হইবে।
'সাম্য*-স্ট্রীস্বাধীনতা'-বিষয়ক সমকালীন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত লেখালেখিতেও পাই
একই যুক্তিক্রম। বরং স্ট্রী' ও ‘oa’ এই দুটি পৃথক 'ক্ষেত্র'কে পরস্পরবোচ্ছন্ন
হিসেবে দেখানোর চেষ্টাই প্রকট। একটি সমকালীন লেখায় বলা হয়েছে:
দেখিতে পাই, নব্যযুবকের সক্লেই স্ত্রীস্বাধীনতা Fae করিয়া! মহা ১৬