দুষ্প্রাপ্য বাংলা সাহিত্য | Dushprapya Bangla Sahitya

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ভূমিকা ক্রমে অনঙ্গমঞ্জরীর গর্ভে শ্রীদেবের CAH তিন পুত্র হয়, তাদের প্রত্যেকের এবং অনঙ্গের ব্যয়ভার বহন করে নিঃস্ব হয়ে পড়ে Alors পরিবারে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত স্বামীপুত্রবত্তী অনঙ্গমঞ্জরী শ্রীদেবের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে। হতাশ, ব্যর্থ, শ্রীদেবের কাতর আক্ষেপোক্তির মধ্য দিয়ে কাহিনির শেষ হয়। দূতীবিলাস-এর OPA উনিশ শতকের প্রথমার্ধের বাঙালি সমাজের একাংশে প্রচলিত 'কাম'-এর নৈতিকতা ও সুখবোধ (pleasure) সংক্রান্ত এক অনবদ্য উপস্থাপনা। অপেক্ষাকৃত বিত্তবান পবিবারগুলিতে পুরুষের বেশ্যাসক্তি এবং অস্তঃপুরের মহিলাদের পরপুরুষগমন --সেযুগের অধিকাংশ পত্রপত্রিকায় একটি চালু বিষয় হিসেবে ছাপা হত। দূতীবিলাস-এও অনঙ্গের স্বামী রাতে বাড়ি থাকত না, কিন্তু তার স্ত্রীর পরপুরুষ সম্ভোগের সম্ভবত সেটাই একমাত্র কারণ নয়। কারণ শ্রীদেবের সঙ্গে মিলিত হবার পরেও স্বামীর সঙ্গে একইভাবে শারীরিক মিলন চালিয়ে গিয়েছে সে। অর্থাৎ, সে য! করেছে অত্যন্ত সচেতনভাবেই করেছে। অস্তরে শ্রীদেবকে ধারণ করেই সে পতির সঙ্গে মিলিত হয়েছে : রঙ্গভঙ্গ দেখি তার পতি গেল ভুলিয়া। পালঙ্কেতে শুলো গিয়ে নিল বুকে তুলিয়া।। রসে বসে রাত্রিশেষে নিদ্রা যায় হইয়া অনঙ্গের নাহি নিদ্রা শ্রীদেবেরে ভাবিয়া।। এখানে Ase স্বেচ্ছাধীন, স্বয়ংচালিঙ নারীসত্তার ছবি পাওয়া যায়, যে তার নিজের শরীর/সুখভোগের ক্ষেত্রে অন্য কারো মুখাপেক্ষী নয়। এই স্বাধীন যৌনসত্তার কথাই যেন প্রকট হয় দাসীরূপধারী শ্রীদেবের উক্তিতে, যেখানে রামচন্দ্র ও জরৎকারু মুনির স্ত্রীর প্রতি নিষ্ঠুরতার প্রেক্ষিতে বলা হয়- “অতএব দেখেশুনে স্বামী চাহি নাই। / স্বামীর অধিনী হলে কোন সুখ নাই।। / উপপতি করি যদি দূরে যায় দৌষ। / এ যুক্তি করিলে থাকে সকলে সম্তোষ।।” সখের যাত্রা দেখতে আসা শঙুরে মেয়েরাও মন্তব্য করেছিল, পল্লীগ্রামের মেয়েদের জীবনে কোনো স্বাধীনতা নেই (শুনে নাকে হাত দিয়ে কহে নারীগণ। / হেন যারা AK ধিক্‌ তাদের জীবন।।)। অনঙ্গ তারকেশ্বরে AVIA জন্মের অন্য মানত করতে যাবার যুক্তি হিসেবে স্বামীকে বলেছিল: “সদা মত্ত হৈয়ে থাক লয়ে বারাঙ্গনা। / আখেরে কি হবে তার নাহি বিবেচনা।। / ... সন্তান না হলো মোর যৌবন না রয়। / তুমি যেন কথা শুন সে তো বশ ai? উনিশ শতকের শেষার্ধের যৌনতার ডিসকোর্সেও বারবার বলা হয়েছে এদেশীয় ধনী ব্যক্তিগণ অল্পবয়স থেকেই অতিরিক্ত SHS করেন বলেই তারা সন্তানের জন্মদানকালে কার্যত ব্যর্থ হন পরবর্তী যৌনতার ডিসকোর্সের একটি সামাজিক মতামতগত ভিত্তি দৃতীবিলাস-এর কাহিনিতেও লভ্য। তারকেশ্বরে জনৈক সন্ন্যাসীর ভবিষ্যৎ্বাণী-সংক্রান্ত মিথ্যা কথা বলে যেদিন অনঙ্গমঞ্জরী স্বামীকে রাজি করাল অন্য পুরুষের Sa গর্ভধারণ করতে, সেদিন রাতে নিয়মমাফিক রভিক্রিয়ার পর উভয়ের পারস্পরিক সম্পর্কহীনতার ছবিটি প্রকট হয়: “রতি রস রঙ্গ হইল যেন শান্ত্র পালা। /উভয়ের মনে অন্য করে দায় টালা।। / তাদের ১৫



Leave a Comment