For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)ৰা স্থভাবচন্দর ক্ষোভ আত্মপ্রকাশ করতে পারত। আজকের দিনে শ্রমিক ও
মধ্যবিত্ত উভয় শ্রেণীই ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের মাধ্যমে যেমন
অর্থনৈতিক স্বার্থসচেতন হয়ে ওঠে ও অর্থনৈতিক দাবী-দাওয়াকেই
করে তোলে জীবনের মুখ্য বিসন্বাদের বিষয়, উনিশ শতকের শেষে
বাঙালীর মানসিকতা ঠিক সে খাতে প্রবাহিত হুয়নি। অর্থনীতির
চেয়ে তাদের কাছে বড় হয়ে উঠেছিল রাজনীতির প্রশ্ব-_রাজনৈতিক
অধিকার অর্জনের সমস্তা। কিন্তু তার চেয়েও গভীরতর যে
আকাঙ্ক্ষ৷ সেদিন জাতিকে আন্দোলিত করেছিল সে আমাদের
জাতীয় প্রতিষ্ঠা লাভের, জাতীয় wey ও জাতীয় Afea রক্ষার
আবেগময় আকাঙ্ক্ষা | অর্থ নৈতিক সমস্যা যে দেশে ছিল না তা নয় :--মাঝে মাঝে
সেই AAD] এত প্রকট হয়ে পড়ত যে জাতীয় নেতারাও সরকারের
কাছে অর্থ নৈতিক দাবী পেশ করতে বাধ্য হতেন । যেমন ১৮৯৬--
৯৭ সালের ছভিক্ষ দেশের অর্থ নৈতিক অবস্থার প্রকৃত রূপকে
খানিকটা উদঘাটিত করে দিয়েছিল | তাই ১৮৯৭ সালের কলকাতা
কংগ্রেসের অধিবেশনে Brae বন্দ্যোপাধ্যায় gree সংক্রান্ত
প্রস্তাব (এ অধিবেশনের som প্রস্তাব- বিষয়টির প্রতি কংগ্রেস
নেতৃবৃন্দ কতটা গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন তা প্রস্তাবের নম্বর দেখেই
হয়তো অন্মান করা যায) উত্থাপন করে বলেন ? “আজ ca বিরাট
সর্বনাশের ছায়াতলে আমরা মিলিত হয়েছি, কংগ্রেসের জন্ম সময়
থেকে এত বড় সর্বনাশ আর এদেশে দেখা দেয়নি। এখন এদেশে
প্রায়ই ছুভিক্ষের আবির্ভাব ঘটছে এবং কোটি কোটি লোক তার ফলে
মারাও যাচ্ছে। ভারতে ইংরেজশাসনের ইতিহাস ছুভিক্ষেরই
ইতিহাস । দূর অতীতের কথা বাদ দিয়ে আমি বিগত কিছু কালের
কথাই zafs—y৮৬৬ সালে এদেশে ছুভিক্ষ হয়েছিল, তারপর
১৮৭৩-৭৪ সালে, আবার *৭৭-৭৮ সালে এবং এখন গত বছর থেকে
চলছে ছুভিক্ষ। ১৮৬৬ ata ছুভিক্ষ সীমাবদ্ধ ছিল ওড়িশায়,