বনফুল রচনাবলী [খণ্ড-১৫] | Banphul Rachanabali [Vol. 15]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ছাটে বাজারে ৭ “ডিমগ্ডর্লে নিয়ে আয়ন গাড়িতে” চলে” গেলেন তিনি । অন্য কেউ হ'লে প্রত্যেকটি ডিম তালে করে' দেখে দেখে নিত, কিন্তু সদাশিব দেখলেন না। কখনও দেখেন না, মাঝে মাঝে ঠকেন তবুও দেখেন না। জনশ্রুতি ঘর-পোড়। গরু সি'দুরে মেঘ দেখলে তয় পায়। কিন্তু অনেকবার ঠকেও সদাশিব ভয় পান a, কারণ তিনি গরু নন, মানুষ । তাই তিনি মাঙ্্যকে বিশ্বাস করেন, বিশ্বাস করে' আনন্দ পান। সদাশিব গাড়ির কাছে এসে দেখলেন আবদুল টিফিন-কেরিয়ারটি নিয়ে দাড়িয়ে আছে | সদাশিবের সঙ্গে চোখাচোখি হ'তেই চোখ নামিয়ে নিলে সে | সদাশিব থমকে টাডালেন, নিষ্পলক দৃষ্টিতে ক্ষণকাল চেয়ে রইলেন তার মুখের দিকে, তারপর অপ্রত্যাশিতভাবে অত্যস্ত কোমলকণ্ঠে বললেন-_"আজ কি_হয়েছিল তোর ! অমন পচ মাছটা আমাকে দিলি-_” “আমি বুঝতে পারিনি 1 তাছাড়া মাথারও ঠিক ছিল না” “মদ খেয়েছিলি নাকি--” “না ছজুর ৷ রমজুটা জরে বেহোশ হ'য়ে গিয়েছিল । এখনও জ্বর ছাড়েনি" “ওষুধ দাওনি কিছু 2” “না এখনও দিইনি ৷ ভেবেছিলাম এমনি সেরে যাবে" সদাশিবের চোখের দৃষ্টিতে আবার আগুন জলে” উঠল। “আমাকে বলনি কেন-_” আবছুল ক্ষণকাল চুপ করে' রইল | তারপর বলল--“আপনাকে বার বার বিরক্ত করতে লজ্জা করে হুজুর” সদাশিব কিছু বললেন না। গুম হ'য়ে জলস্ত দৃষ্টি মেলে চেয়ে রইলেন YI তারপর বললেন-_“এখুনি আমি রমজুকে দেখতে ata গাড়িতে উঠে বোদ-_” ঠিক এই সময় ফুলিয়া হাজির হ'ল ডিম আর বাকী পয়সা নিয়ে । আলী ডিমগডলো নিয়ে যথাস্থানে রেখে দিল | সদাশিব পয়সাগুলো গুনে দেখলেন না। কেবল একটা এক-আনি তুলে দিয়ে দিলেন ফুলিয়াকে ৷ ফুলিয়া একমুখ হেসে ছুটে চলে' গেল । Fas দৃষ্টি মেলে তার দিকে চেয়ে রইলেন সদাশিব ৷ তার মনে হ'ল ফুলিয়া নামটা সার্থক হয়েছে ওর | সত্যিই ফুলের মতো। a2 ডাক্তার সদাশিবের মতো লোক সাধারণতঃ দেখা যায় না। কোনো ভালো জিনিসই সাধারণের পর্যায়ে পড়ে না। হীরা'মুক্তা খোলামকুচির মতো পড়ে থাকে না পথেঘাটে। খনির অদ্ধকারে HET HCA অতলে ওদেয় জন্ম হয়, রহস্তময় উপায়ে । প্রচণ্ড চাপে



Leave a Comment