নীলবর্ণ শৃগাল | Nilbarno Shrigal

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
কেন নিয়েধ করছে, বাধভালুক আছে না আর কিছু হবে, আর-কিছু হবেই বা-কী, এ-মব TH জিজ্ঞাসা প্রকাশ করবার মত রাষ্ট্রামার পু'জি আমার নেই, কাজেই সংক্ষেপে বললাম, “ঠিক gta, উধার নেহি যায় গা !” শুঁড়ি-পথ দিয়ে সাবধানে নামছি, কখনে! গাছের ডাল্প ধরে, কখনো লাঠিতে ভর দিয়ে, কিন্তু মনটার মধ্যে বুধন সিং-এর নিষেধবাক্য পাক খেয়ে মরছে, “উধার মৎ যাইয়ে সাহেব ।” প্রত্যেকটি শাল গাছ জাহাজের মাস্তল হবার যোগ্য, বনস্পতি একেই বলে । মাটি থেকে পঞ্চ'শ হাতের মধ্যে কাণ্ডের গায়ে কোথাও শাখাপ্রশাখা নেই, সরল সমান্তরাল বলিচিহ্নগুলোতে a afta, বন্ধ বর্ষণের শ্যামলতা। এমন শত শত হাজার হাজার বনস্পতি। বনের বারো আনাই শাল। তাছাড়া আছে পিয়াশাল, ধ, কেঁদ, মহুয়া, অজু, আর আছে wow পাহাড়ী বাশের aro. সব কাধে কাধে মিলে এমন ঘন হয়ে দীড়িয়েছে যে, অনেক স্থানেই রোদ মাঁটি পর্যন্ত এসে পৌছায় না, সব একটান। ছায়া, Cal স্তগতসেতে। সব BS মিলে সরীন্থপের শীতম্পর্শ AP করেছে। মাঝে মাঝে রোদের কুচি সেই সরীস্থপের গায়েরই রঙের বাহার। কিছুক্ষণ এসব জায়গায় থাকবার পরেই অতলে তলিয়ে যাওয়ার একটা অনুভূতি জন্মায়, যেন এঁ আদিম অতিকায় সরীক্থপটার Gora তলিয়ে গেছি, মনে হয় যে, বিশ্বজগৎ নেই, কিন্তু আমি তবু আছি। এ-সব বনের মস্ত একটা সুবিধা যে, তলাটা বেশ পরিষ্কার, যেদিকে খুশি যাওয়া যায়। যাচ্ছিও তাই। ইতিমধ্যেই ফুলের নমুনায় কাধের থলিট| বেশ ভারী হয়ে উঠেছে। যত ফুল তত প্রজাপতি। সমস্তই অজ্ঞাত, অপরিচিত ; উদ্ভিদ-বিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা! এদের খবর রাখে না। 4



Leave a Comment