যখন নায়ক ছিলাম | Jakhan Nayak Chilam

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
যদিও বা একটি পেলেন, দেখলেন সেক্স যদিও তার আছে, সেটা সম্পূর্ণ নিজস্ব করে নিজের মধ্যেই চেপে রেখে দিয়েছে। দশজনের কাছে তার আবেদন পৌছে দেওয়া দূরে থাক, কণামাত্র আদায় করতে পরিচালক বেচারিকে মদনদেবের আপিল আদালতে মাথা খুঁড়ে মরতে হয়। শেষকালে তিতিবিরক্ত হয়ে দিলেন এ ভূমিকা কোনো নাম-করা অভিনেত্রীকে, এঁ ভূমিকায় dee একদম মানায় না। আর সেক্স আ্যাপিল? কোন সে সুদুর অতীতে ওঁর সেক্স আ্যাপিলে যাদের দেহে-মনে শিহরণ জাগতো, তাদের অনেকেই আজ আ্যাপিলের বাইরে বসে ow মনে নাতি-নাতনি নিয়ে সুখে ঘর-সংসার করছেন। কিন্তু তাতে কী হল? মেয়েদের একটা অদ্ভুত সাইকোলজি, তারা কিছুতেই বয়সের সঙ্গে সমান তালে পা ফেলে চলতে চান না। সব সময় পিছনে পড়ে থাকতে চান। ফলে হারিয়ে যাওয়া যৌবনকে মেক আপের (মায়াজালে ফিরিয়ে আনার ব্যর্থ চেষ্টায় এমন সেক্স আ্যাপিল দেখাতে শুরু করেন, যার ন্যক্কারজনক পরিস্থিতি crass ছবিকেও লজ্জা দেয়। আর সত্যিকার রসিক দর্শক বিরক্তিতে ভ্রু কুঞ্চিত করে প্রেক্ষাগৃহ থেকে বেরিয়ে এসে ভবিষ্যতে বাংলা ছবি না দেখার সংকল্প করে বসেন। বাংলাদেশের নায়িকাদের সম্বন্ধে এই কথাটা বোধহয় নির্ভয়ে বলা চলে যে, যার নেই কিছু, তারই দেবার ব্যাকুলতা | যার আছে, হয় সে কৃপণ, নয়তো দেবার ক্ষমতাই নেই। এই তো গেল ভলাপঢুয়াস নায়িকার কথা। সাধারণ নায়িকার ব্যাপারেও ফ্যাসাদ একটুও কম নয়। সত্যিকার নায়িকা হবার যোগ্যতা বাংলা ছবিতে মাত্র দুতিনজন মেয়ের বেশি নেই। সব প্রোডিউসার মিলে তাদের নিয়েই কাড়াকাড়ি । ফলে এক- একজন নায়িকা বারো-তেরোখানা ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে মোটা টাকা আগাম নিয়ে বসে আছেন। শুটিং শুরু করে আপনি দেখলেন, মাসে দুতিন দিনের বেশি ডেট তিনি কিছুতেই দিতে পারছেন না। অগত্যা ছবির সময় ও খরচা দুই-ই বেড়ে গেল। এইবার দৃষ্টিপাত করুন পঁচিশ-ছাবিবিশ বছর আগে নির্বাক যুগের দিকে। যে কোনো জাতের ভিতর থেকে অতি সহজে নায়িকা নির্বাচন করে ফেলুন যেমনটি আপনার চাই। তারপর স্টুডিওতে নিয়ে এসে শাড়ি-রাউজ পরিয়ে ছবি তুলে নিন। যার যে ভাষা, সেই ভাষাতেই অভিনয় করে যাক, কোনও ক্ষতি নেই। বাংলা টাইটেল দিয়ে শুধু বুঝিয়ে দিন, কী সে বলছে। নির্বাক যুগে খুব কম বাঙালি মেয়ের নায়িকা হবার সৌভাগ্য হত। বেশীর ভাগ মেয়ে নেওয়া হত আ্যাংলো-ইন্ডিয়ান পাড়া CAC | এ ছাড়া ইহুদি, orale, ইতালিয়ান, মুসলমান প্রভৃতি সব সম্প্রদায়ের ভিতর থেকে সুন্দরী স্বাস্থ্যবতী মেয়েদের মনোনীত করা হত। তখনকার যুগের বিখ্যাত অভিনেত্রীরা, যথা--সীতা দেবী (মিস রেনি স্মিথ), পেশেন কুপার, ললিতা দেবী (মিস বনি বার্ড), সবিতা দেবী, ইন্দিরা দেবী (নির্বাক 'কপালকুণগুলা” ছবিতে নাম- ভূমিকায় বিশেষ খ্যাতি লাভ করেন) এঁরা সবাই ছিলেন আ্যাংলো-ইন্ডিয়ান মেয়ে। ৭



Leave a Comment