হাওড়া | Howrah

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
© প্রাকৃতিক পরিপার্স্ ঘ. ভূ-তাত্ততিক বিবরণ s ভূপ্রকৃতিগতভাবে এই জেলাটি, বাংলা অববাহিকার দক্ষিণ পশ্চিম IPH এক অপরিবর্তনশীল পাহাড়ের উপর অবস্থিত। মাটির ভিতরে এ জেলার সে শিলাস্তরটি কোন এক শক্ত ও পুরু কষ্টিপাথরের স্তরের ও পাললিক গঠনক্রমের মধ্যে সমাহিত। তবে জেলার উপরিভাগ পলিমাটি দিয়ে গঠিত। ১৯৩৫-৪০ স্ররীষ্টাব্দে এ জেলার মাটির তলায় পরীক্ষামূলকভাবে খননকালে son ফুট গভীরে কোন পাথুরে ভিত্তি বা সামুদ্রিক স্তর পাওয়া যায়নি। অনাদিকে পৃষ্ঠদেশ থেকে তিরিশ ফুট নীচে গাছপালার অবশেষ পাওয়ায় মনে করা যায় যে এঁ Bais ছিল প্রাচীন ভূমিপৃষ্ঠ। এ ছাড়া আরও গভীরে ৩৮০ ফুট নীচে মিঠে জলেব প্রাণীর হাড়গোড় ও অসংখ্য প্রস্তর খণ্ড পাওয়ায় অনুমান করা যেতে পারে যে, ক্রমাগত পলি সঞ্চয়ের ফলে হাওড়া জেলার এই ভূভাগটি গঠিত হয়েছে। সেজন্য দেখা যায়, জেলার উত্তর-পশ্চিম এলাকা অর্থাৎ উদয়নারায়ণপুর ও আমতা থানার ভূভাগ দামোদরের শ্রোতধারায় বাহিত পলিমাটি দিয়ে গঠিত। দক্ষিণের অর্ধভাগ, অর্থাৎ গোটা শ্যামপুর থানা এবং বাগনান, উলুবেড়িয়া ও পাঁচলা থানার কতকাংশ আবার নোনাযুক্ত পলিমাটির দ্বারা গঠিত। পূবের অংশ, অর্থাৎ, সমগ্র বালী, মালীপীচঘরা, গোলাবাড়ি, হাওড়া, শিবপুর, ব্যাটরা, জগাছা, ডোমজুড় ও শীকরাইল এবং জগৎবল্লভপুর থানার বেশ কিছু অংশ গঙ্গার নিশ্নভূমির মাটি দিয়ে এবং জেলার অবশিষ্ট অংশ দামোদরের চরভূমি নিয়ে গঠিত। খনিজ সম্পদের দিক থেকে এ জেলায় তেমন কিছু না থাকলেও পলিমাটি দিয়ে গঠিত সমতলভূমি কৃষিকাজের পক্ষে বেশ উপযোগী তাছাড়া এই ধরনের মাটি সহজলভ্য বলে এ জেলায় মাটির হাঁড়িকুড়ি ও ঘর ছাইবার পোড়ানো টালী প্রভৃতি তৈরীর মৃৎশিল্পটি বেশ সমৃদ্ধ হয়েছে। এছাড়া পাকাবাড়ি নির্মাণে গাথনির জন্য এখানে বালিও অফুরস্ত পাওয়া যায়। মাটির তলায় ৭.৫মি. থেকে ৫৫মি. পর্যস্ত যে মিহি বালি পাওয়া যায় তার রঙ হলদে ও Ud ভাগ বেশি এবং এটির বিস্তার ৭৬ মি. পর্যন্ত। তার পরেই গভীরে অবস্থিত মাটিটির রঙ্‌ কালো। সম্প্রতিকালে ইন্ডো-স্টানভ্যাক পেট্রোলিয়াম প্রোজেক্ট এর পক্ষে ভূ-গর্তে যে অনুসন্ধান ও সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়, তার ফলে জানা গেছে যে, প্যালিওসীন এবং fry ইয়োসিন যুগের বালীর স্তরে চুনাপাথরের উপর চাপানো কিছু কিছু পেট্রোল ও গ্যাস রয়েছে। কিন্তু তা হলেও বাণিজ্যিকভাবে সে সব কাজে লাগানোয় অসুবিধে। পরবর্তীকালে ভারত ও রাশিয়ার খনিজ তৈল প্রযুক্তিবিদরা মাটির তলায় বহুদিন ধরে জমে থাকা উদ্ভিজ পদার্থ থেকে রূপাস্তরিত এমন এক খনিজ জ্বালানীর সন্ধান পেয়েছেন যা PUNT রূপান্তরিত হওয়ার এক প্রাথমিক পর্যায়। কিন্তু এই খনিজ পদার্থাটর বাণিজ্যিক সদ্ব্যবহার সম্পর্কে কোন পরিকল্পনা করা হয়নি। এ জেলার মাটির তলায় ৪৬ থেকে ১৩৭ মিটার গভীরে মোটা থেকে মিহি দানা বালিতে, কখনও বা বালি মিশ্রিত নুড়িতে জলের স্তর পাওয়া যায়। তবে জেলার ভূগর্ভস্থ জলের স্তর সর্বত্র সমান নয়। জেলার উত্তরাঞ্চলে ss থেকে ৩০ মিটার গণভীবে মিঠা জলের স্তর পাওয়া গেলেও, জেলার দক্ষিণ ভৃভাগে এ গভীরতায় যে জল পাওয়া যায় তা লবণাক্ত | কিন্তু এ সব স্থানের ২০০ থেকে ২৫০ মিটার গভীরে স্বাদু জলের সন্ধান পাওয়া যায়।



Leave a Comment