পুরাকীর্তি সমীক্ষা মেদিনীপুর | Purakirti Samiksha Medinipur

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
পুরাকীতি সনমীক্ষাঃ মেদিনীপুর ওড়িশার গঙ্গবংশের (ABT ১২-শ শতক) ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, অনন্তবর্মণ চোড়গঙ্গদেব তার রাজ্য বছদূর পর্যন্ত বিস্তৃত করেছিলেন। তার প্রদত্ত স্রীকুর্মম লিপি (১১৩৫ Rs) থেকে জানা যায় যে, এই বৎসরেই তিনি গঙ্গা থেকে গোদাবরী পর্যন্ত Res ভৃভাগ অধিকার ক্রেন। এছাড়া অনন্তবর্মণ চোড়গঙ্গ, ২য় নরসিংহ ও ৪র্থ নরসিংহের প্রদত্ত' বিভিন্ন লিপির সাক্ষ্য থেকেও জানা যায় যে, অনন্তবর্মণের রাজ্য faye ছিল দক্ষিণে গোদাবরী, উত্তরে মিধুনপুর, পূর্বে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে পূর্নঘাট পর্বতমালা পর্যন্ত। বর্তমানে এসব লিপিতে উল্লিখিত সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ডঃ নীহাররঞ্জন রায় ভার 'বাঙ্গালীর ইতিহাস' গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, ofa চোড়গঙ্গ রাজাদের আধিপত্য যে মিধুনপুর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল, নিঃসন্দেহে সেটিই হল বর্তমান মেদিনীপুর | সুতরাং আলোচ্য এই মিধুনপুর অপভ্রংশে যদি মেদিনীপুর হয়ে থাকে, তাহলে HBr ata শতকেই 'মেদিনীপুর' নামের অস্তিত্ব রয়েছে। এছাড়া 'মেদিনীপুর' নামকরণের পিছনে আরও একটি সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করা যেতে পারে। “পতরেয় আরণ্যকে' বঙ্গ, মগধ ও চেরপাদের উল্লেখ পাওয়া যায়। বঙ্গ ও দক্ষিণ বিহারের মগধ আমাদের কাছে জ্ঞাত হলেও উল্লিখিত চেরপাদটিকে এঁতিহাসিকেরা দক্ষিণাপথের একটি প্রাচীন রাজ্যের নাম বলেই সিদ্ধান্ত করেছেন। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত 'চেরো' নামক গবেষণাগ্রন্থের লেখক হরিমোহনের অনুমান, চেরো ভূখণ্ড আসলে ছোটনাগপুরের মালভূমি। এই গ্রন্থে মেদিনীরায় নামে একজন HASTY চেরো সম্রাটের কথা আছে। মেদিনীপুর জেলার পশ্চিম অংশ ছোটনাগপুর মালভূমির প্রত্যস্তভাগে অবস্থিত। মেদিনীপুরের পশ্চিম অংশ উল্লিখিত মেদিনীরায়ের সামাজ্যভুক্ত হয়ে থাকতে পারে। এই যুক্তিতে মেদিনীরায় প্রসঙ্গে মেদিনীপুর নামের উৎপত্তি হওয়া অসম্ভব নয়। নামকরণের ইতিহাস যাই হোক্‌ না কেন, মেদিনীপুর নামের উল্লেখ পাওয়া যায় আবুল ফজল প্রণীত 'আইন-ই-আকবরী' গ্রন্থে (১৫৯৬ Me) | সেই সময় প্রশাসনিক কারণে মেদিনীপুর ওড়িশার মধ্যে ছিল। ওড়িশা ছিল পাচটি সরকারে বা প্রশাসনিক বিভাগে foe, জলেমশ্বর এর অন্যতম। বর্তমান মেদিনীপুর জেলার অধিকাংশ (আগাশটি মহলে বিভক্ত) ছিল সরকার জলেম্বরের TOSS | এরপর শাহজাহানের আমলে (১৬৫৮ খ্রীষ্টাব্দে) এ পাচটি সরকারকে ভেঙ্গে বারটি সরকারে পুনর্গঠিত করা হয় এবং উত্তরাংশের VS সরকারকে সুবা বাংলার অধীন করা হয়। এর মধ্যে জলেম্বর, মালঝিটা, মজকুরী ও গোয়ালপাড়া সরকার প্রধানতঃ বর্তমান মেদিনীপুরের এলাকাভুক্ত হয়। মুর্শিদকুলী খার (১৭২২ Bs) আমলে রাজস্ব সংগ্রহ ব্যবস্থা সংশোধন করে 'মহল'-এর বদলে “পরগণা'র প্রচলন হয়। এই উপলক্ষে 'সরকার' নামীয় বিভাগকে ভেঙ্গে বিভিন্ন 'চাকলা'য় বিভক্ত করে দেওয়া হয়। চাকলাহিজলীর সমগ্র অংশ এবং চাকলা ACTA কতক অংশ আজকের এই মেদিনীপুর জেলার মধ্যে পড়ে। পরবর্তী পর্যায়ে ১৭৫১ ব্রীষ্টাব্দে মারাঠা অধিকারের পর চাকলা বালেশ্বরকে মেদিনীপুর ও জলেম্বর এই দুইভাগে বিভক্ত করে দেওয়া হয়। ১৭৬০ Here sey ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মীরজাফরকে cape করে Se জামাতা মীরকাসেমকে বাংলার নবাবী প্রদান করেন তখন এই মর্যাদাপ্রাপ্তির মূল্য



Leave a Comment