কলিকাতার কথা | Kalikatar Katha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
২ কলিকাতার কথা কালীপূজা করিয়া থাকে। তাহারা দুর্গাপূজা সেরূপ করে না। বর্তমান বসত বাড়ি হইবার পূর্বে এখানে সাগর দত্তের পাটের কল ছিল, উহাতে তিনবার আগুণ লাগিয়াছিল ও বর্তমান বসত বাড়িতে কিছুদিন হইল SEIS হয়। মুসলমান রাজত্বকালে কলিকাতার নাম দিল্লী, আগ্রার মত বিখ্যাত না হইলেও সে সময়ে বিদ্যমান ছিল ও উহা সরকার সাতরগীর অধীন বলিয়া আইনি আকবরীতে দেখা যায়। প্রাচীন বসবাসের চিহ্ন, পোড়ামাটির ধাতুর ঘটি, বাটি, খোলা, খাপড়া ফলের বিচি, গাছের পাতা ও গুঁড়ি আদি বর্তমান কলিকাতার দুর্গের গভীরতম sco, লাল দিখি, মনোহরতলা প্রভৃতি পুষ্করিনীর গভীর ঘাতে পূর্বে পাওয়া গিয়াছে। কালীক্ষেত্র__ বেহালা হইতে দক্ষিণেশ্বরের মধ্যবর্তী স্থানকে লোকে তখন কালীক্ষেত্র বলিত, উহা যে কাশীর ন্যায় মহাপুণ্যক্ষেত্র তাহা দেবী ভাগবত উল্লেখ করিয়াছে। আরও সতীর ছিন্নদেহ ভূমিতে পতিত হইয়া পাযাণত্ব ate হইয়াছিল উক্ত হইয়াছে। তন্ত্র বিশেষের মতে একান্ন পীঠের মধ্যে কালীক্ষেত্রই শ্রেষ্ঠ। পীঠমালায়েও দক্ষিণেশ্বর হইতে বেহালা wey স্থানকে কালীক্ষেত্র বলে। এখানে সতীর দক্ষিণ পদের অঙ্গুলি পড়িয়াছিল। কবিকষঙ্কণের চণ্ডীতে কালীঘাটের নামোল্লেখ আছে কিন্তু কালীক্ষেত্র বা কালিকা দেবীর কোন উল্লেখ নাই। কালীক্ষেত্রদীপিকা বলিয়া একটি প্রহ্থ আছে, উহা দিল্লির পাঠান রাজাদের সময়ের বলিয়াই বোধ হয়। তখন কালীঘাটের অনতিদূরে দুই এক স্থানে মানবের বাস ছিল, তত্তিন্ন সমস্তই ভীষণ জঙ্গল, কচু, বেত ও শগুল্মাদিপূর্ণ ছিল। তখন সেই জঙ্গলের মধ্য দিয়া একটি পথ ছিল উহা কপিলাশ্রমে গিয়া পৌছিত। বর্তমান চিৎপুরের রাস্তাকে সেকালে তীর্থযাত্রীর পথ বলিত। প্রসিদ্ধ এতিহাসিক মার্টিন সাহেব দক্ষিণেশ্বরকে সেকালের বাংলার রাজধানী বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন। *বিখ্যাত গুপ্ত রাজাদেব পুরাতন মুদ্রা সকল কলিকাতা ও কালিঘাট হইতে পাওয়া গিয়াছে; এ সকল এখন বিলাতের British Museum-99 মুদ্রা প্রদর্শনীতে রক্ষিত হইতেছে। গুপ্ত বংশের অধিকার কালে প্রাচ্য ভারতে তাস্ত্রিকগণ প্রবল হইয়া উঠেন। উদীয়মান তাস্ত্রিকতায় বৌদ্ধ মন্ত্রযান শৈব শাক্ত সম্প্রদায় গা ঢালিয়া দেন। সেই সময়েই বোধহয় যে, কালী কলিকাতা হইতে কালীঘাটে স্থানাড়রিত হন। + সেইজন্যই বোধহয় গুপ্তবংশের মুদ্রা সকল কালীঘাটের নিকটে আবিষ্কৃত হইয়াছিল। তখন কাপালিকগণের নরবলি আদি অত্যাচাবে কালিঘাট ও কলিকাতা বনজঙ্গলে পরিণত হইয়াছিল। উহার সঙ্গে ACH কালীক্ষেত্র নামেরও লোপ হইয়াছিল। সেই হইতেই কলিকাতার নাম আরম্ভ হয়, এইরূপ অনুমান করা অসঙ্গত নয়। প্রত্যক্ষমূলক সমস্ত জ্ঞানই আমাদের নিজ প্রত্যক্ষজাত হইতে পারে না। প্রত্যক্ষ জাত ঘটনা পুরুষানুক্রমে প্রাপ্ত প্রবাদ হইতেই পাওয়া যায়। পৌরাণিক সমস্যা ও তত্ত্ব নির্ণয় বর্তমান Poss মতে বহু শতাব্দী পূর্বে কলিকাতা ও তৎসন্লিকটস্থ স্থানগুলি সমুদ্রগর্ভে ছিল। কালধর্মে গভীর সমুদ্রতল হইতে Bows ধরিয়া চর ও বালুকাস্তর দ্বারা * Martin's Eastern India Vol 3. P 48 Catalogue of Asiatic Indian coins Society Journal P 142-44 (1884.) + ১৭৮৩ স্বীষ্টাব্দে কালীঘাটে আবিষ্কৃত ছাদশাদিতা উপাধিধারী তৃতীয় চন্দ্রগুপ্ত ও চন্দ্রাদিত্য উপাধিধারী বিষ্ণুগুপ্তের যথাক্রমে তিনটি ও পনেরটি সুবর্ণ মুদ্রা লগুনের ব্রিটিশ মিউস্সিয়মে প্রদর্শিত হহ্যাছে,।



Leave a Comment