বইয়ের লেখক
বইয়ের আকার
16 MB
মোট পৃষ্ঠা
227
ধরণ
For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)১৮ 'ভারতী' সম্পাদনার দায়িত্ব তাকে নিতে হল। ১৮৮৪-তে স্বর্ণকুমারী যখন 'ভারতী'র সম্পাদকীয় দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখন
'ভারতী' হয়ে ওঠে দ্বিতীয় মহিলা-সম্পাদিত পত্রিকা এবং প্রথম দীর্ঘস্থায়ী, বৃহদাকার
এবং বহুল-প্রচারিত মহিলা-সম্পাদিত মাসিকপত্র ১২ ১৮৮৪ থেকে ১৮৯৫--১১ বছর
এবং আবার ১৯০৮ থেকে ১৯১৫-৮ বছর, মোট ১৯ বছর স্বর্ণকুমারী 'ভারতী'র
সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯১৫-তে জানকীনাথের মৃত্যুর পরে তিনি
কর্মজীবন থেকে ধীরে ধীরে অবসর নেন এবং মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে
সম্পাদকীয়ভার অর্পণ করেন Pe 'ভারতী'র প্রয়োজন মেটাতেই, গল্প-কবিতার পাশাপাশি বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ
রচনায় হাতেখড়ি হয় স্বর্ণকুমারীর ৷ ১৮৮০ থেকে ১৮৮৯-এর মধ্যে 'ভারতী'তে
মোট ১৭টি বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ লেখেন তিনি, এবং তারপরে একেবারে ১৩১৪-
তে রামেন্দ্রসুন্দর ব্রিবেদীর 'প্রকৃতি'-র সমালোচনা ছাড়া আর কোনো বিজ্ঞান বিষয়ক
লেখা লেখেননি তিনি। আগেই বলেছি, বিজ্ঞান বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ ছিল না তার, fey
সংকলিত লেখাগুলো দেখলেই বোঝা যাবে উনিশ শতকের বিজ্ঞানচর্চার রীতিনীতি
মেনেই প্রবন্ধগুলি লেখা | বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণের জন্য রাজেন্দ্রলাল যে ধারার সূত্রপাত
করেছিলেন, স্বর্ণকুমারীর রচনাতেও সে ধারাই অনুসৃত হয়েছে। লেখাগুলো সবই
উনিশ শতকে ইউরোপের বিজ্ঞানচর্চা থেকে উদ্ভূত তথ্য অবলম্বনে লেখা ৷ তখনও
পদার্থবিদ্যা-চর্চা নিউটনীয় গতিবিদ্যা এবং সনাতন যন্ত্রবিদ্যার মূল নীতির মধ্যেই
আবদ্ধ | আপেক্ষিকতার তত্ত্ব এসে তখনও বিজ্ঞানের মূল সূত্রগুলোর বিষয়ে সংশয়ের
সৃষ্টি করেনি। এই সব-কিছু মাথায় রেখেই স্বর্ণকুমারীর লেখাগুলো পরতে হবে।
“পৃথিবীর উৎপত্তি” বা “পৃথিবীর পরিণাম” বিষয়ে লেখাগুলোর ক্ষেত্রে যে ধরনের
যুক্তিক্তম এবং উদাহরণ তিনি ব্যবহার করেছেন তা সম্পূর্ণভাবেই বিজ্ঞান বিষয়ে
পুরোপুরি অজ্ঞ পাঠকেরা ও যাতে মর্মোদ্ধার করতে পারে তা মাথায় রেখেই লিখেছেন |
“বিজ্ঞান শিক্ষা” প্রবন্ধে স্পষ্টতই বোঝা যায় ব্রাহঙ্মসমাজের শিক্ষা সেখানে অনুস্ত
হয়েছে। " গত 'শতকের পটভূমিতে পদার্থবিদ্যার সবচেয়ে জটিল বিষয়গুলো নিয়েই
লিখেছিলেন স্বর্ণকুমারী। গণিতের সাহায্য ছাড়া মহাকাশবিদ্যা জনপ্রিয় পত্রিকায়
সাধারণ লোকের জন্য লেখা খুবই দুরূহ কাজ | স্বর্ণকুমারী নিজে যে খুব ভালো অঙ্ক
জানতেন এমন কোনো প্রমাণও নেই, সুতরাং সেক্ষেত্রে তিনি বেছে নিয়েছেন
যুস্তিবিদ্যার সাহায্য, আর সে বিষয়ে"তার পারদর্শিতার প্রমাণ এই রচনাগুলো। স্বর্ণকুমারীর বিজ্ঞান বিষয়ক লেখাগুলো সংকলিত করার কারণ দুটো, প্রথমত,
উনিশ শতকে বাঙলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার 'যে ধারা শুরু হয়েছিল, তা শেষ পর্যন্ত
কতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল তার সাক্ষ্যপ্রমাণ বহন করে এই লেখাগুলি | দ্বিতীয়ত,
প্রথানুগ শিক্ষা ছাড়াই তিনিই প্রথম মহিলা, যিনি উনিশ শতকের বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণের _
প্রচেষ্টায় যোগ দিয়েছিলেন । আজকের সাপেক্ষে--স্বর্ণকুমারীর রচনায় সরবরাহ করা.
বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলোর ততটা মূল্য নেই, -_কিছু বাঙলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চা