শৈলবালা ঘোষজায়ার গল্প সংকলন | Shailabala Ghoshjayar Galpa Sangkalan

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
২ 'শৈলবালা ঘোষজায়ার দাড়াইল। লাবণ্যময়ী কিশোরীর মুখপানে প্রীতি-পূর্ণ দৃষ্টিতে চাহিয়া, তরুণ Gad করুণা- কোমল কণ্ঠে সুধাইল, “কার সঙ্গে মন্দিরে এসেছিলে খুকি?” থামিয়া থামিয়া শুষ্ক কণ্ঠে ছবি বলিল, “আমার মা, মাসীমা, মেসোমশাই, ar সবাই এসেছে। আমি মাসীমার হাত ধরে ছিলুম, তার পর মন্দিরে ঢুকে--”, ছবি আবার কাদিয়া ফেলিল। “চুপ কর, চুপ কর, এখনি তাদের পাবে, কান্না কি? তোমাদের ছড়িদার কেউ নেই?” “হ্যা আছে, কপালে ফৌঁটা পরে একজন--” “তার নাম কি বল দেখি?” “তা জানিনে, তার মাথায়, — এঁ তোমার মত চুল Ad! নেই ত, - বড় বড় চুলে Pool বাধা আছে।” সরলা বালিকার এই Wars যুক্তিপূর্ণ অভিজ্ঞান নির্দেশে লোকটির মুখ হাসিতে ভরিয়া উঠিল ; চারিদিকেই তো শত শত চূড়া-বীধা মাথা, তাহার মধ্য হইতে একটি চূড়া-চিহ্নিত পরিচিত মাথা খুঁজিয়া বাহির করা নিতাস্তই সহজ! “আচ্ছা, “eta নাম কি জান?” “না, মায়েরা কেবল সেই লোকটার সঙ্গেই ঠাকুর দেখতে ঢুকেছেন।” “মন্দিরে ঢুকেছেন তো? আচ্ছা, তবে কোন ভয় নেই, এখনি বেরুলেই পাওয়া যাবে। তোমার নামটি কি খুকি?” “আমার নাম ছবি।” সেই রবিকরোজ্জ্বল মধুর প্রভাতে সেই Re লালিত্যময় সুন্দর মুখখানির প্রতি চাহিয়া চাহিয়া মুগ্ধ-হৃদয় যুবা ভাবিল, “ছবি বটে! কোলাহল করিতে করিতে যাত্রীদল জলপ্রবাহ-বৎ যাওয়া-আসা করিতেছে | চলিতে চলিতে কেহ বা তাহাদের দিকে কৌতুকোজ্জ্বল কটাক্ষ হানিয়া যাইতেছিল,-- ছবি নত দৃষ্টিতে সসঙ্কোচে জড়সড় হইতেছিল। অদূরে আবির-লাঞ্ছিত অদ্ভুতদৃশ্য কয়েকজন ছোকরা তাহাদের লক্ষ্য করিয়া, গোপন Fc চোখ টেপাটেপি করিয়া বেজায় হাসিতেছিল। তাহাদের মধ্যে একজন দণ্ড দুয়েকের জন্য সরিয়া গিয়া মন্দিরদ্বারে ভিড়ে মিশিল, তারপর সহসা অত্যন্ত ব্যস্তভাবে আসিয়া Gace ছবির হাত ধরিয়া এক হ্যাচকা মারিল। “আরে'আমার যাত্রীর মেয়ে ভিড়ে হারিয়েছে, আয়!” সেই সর্ব্বদশী তরুণ যুবা এই লোকটার আচরণ আগাগোড়া সব লক্ষ্য করিতেছিল ; বহুকষ্টে এতক্ষণ সংযত ছিল, আর পারিল না, WHFS ধৃষ্টতার প্রত্যুত্তরে অকস্মাৎ রুদ্রমূর্তি ধরিয়া সেই অসভ্যটার গালে সশব্দে এক চড় বসাইয়া দিল, “বিশ্বস্তর পাগার হাতে গড়া cal, ছড়িদারদের সর্দার সে, - রঞ্জন মিশ্র তার নাম, তার কাছে বেয়াদবি!” অপ্রত্যাশিত চপেটাঘাতে বিপর্য্যস্ত হইয়া আলোড়িত মস্তিষ্কে বুদ্ধিমান লোকটা MANTA মুখে গালে হাত বুলাইতে বুলাইতে তাড়াতাড়ি ভিড়ে ভিড়িয়া পড়িল, আর ag ফিরিয়া চাহিল না। ভয়াকুলা ছবিকে শাস্ত-স্বরে আশ্বস্ত করিয়া রঞ্জন তাহাকে আবার আগলাইয়া দীড়াইল।



Leave a Comment