মৌসুমি সমুদ্রের উপকূল | Mousumi Samudrer Upakul

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৩ ব্রাহ্মণপ্রধান ধাত্রীনগর গ্রামে বাৎসরিক কালীপুজোর প্রচলন আছে। এবার কালীপুজো আঠেরোই কার্তিক বিষ্ণুপ্রিয় ভট্টাচার্যের বাড়িতে পুজো না হলেও তার জ্ঞাতিদের বাড়িতে হয়। বিষ্ণুপ্রিয় আচার-আচরণে এবং বিশ্বাসে বৈষ্ণব। এই গ্রাম পত্তনিতে চন্দ্রদ্বীপরাজের অনুগ্রহ ছিল। তাদের তাস্ত্রিকগুরুর স্বজন ছিল এই গ্রামের আদিপুরুষরা। তান্ত্রিক দেবদেবীর পুজোআচ্চা এখনো এ গ্রামের বেশির ভাগ পরিবারে প্রাধান্য বিস্তার করে আছে। কেবল বিষ্ণুপ্রিয় আদি, দু-তিনটি পরিবার এক বা দুই প্রজন্ম আগে থেকেই গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু প্রবর্তিত ভক্তিধর্মশোতে অবগাহনের প্রচেষ্টা শুরু করেছে। প্রচেষ্টা বলাই ভালো, কেননা শাক্তপ্রধান এই গ্রামটিতে বৈষ্ণব আচরণ তেমন সহজ ছিল না। তবে যে কোনো রকম CATS আত্মস্থ করার এবং প্রচলিত প্রধান Nw সঙ্গে মিলিয়ে-মিশিয়ে নেবার বাঙালিসুলভ প্রচেষ্টার অভাব কোনো দিনই এদেশে ছিল না। ফলে বিষ্ণুপ্রিয় ইত্যাদি তিনটি পরিবারের দৈনন্দিন ধর্মাচার থেকে শাক্ত অনুষ্ঠানের উগ্রতা কমলেও একেবারে লোপ পেয়ে যায়নি। নিজেদের বাড়িতে কালীপুজো না হলেও বিষ্ণুপ্রিয়র বাড়ি থেকে শরিকদের বাড়ির মণ্ডপে একটি উপাচারপূর্ণ তামার খুঞ্চা নিবেদনের জন্য যেত। সকালে স্ত্রী সত্যভামা যখন নৈবেদ্যর খুঞ্চায় ধৃপ-দ্বীপ-ফুল-বেলপাতা- সুপারি-আতপচাল-নারকেল ইত্যাদি সাজাচ্ছিল, বিষ্ণপ্রিয় তখন বাড়িতে মাছ বিক্রি করতে আসা জেলের সঙ্গে দরদামে ATG!



Leave a Comment