দূরের মিছিল [সংস্করণ-১] | Durer Michil [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ছি ছি ছি, চঞ্চলের মতো সোনার টুকরো ছেলে তার Fal এমন কীজ--কত তালো মেয়ে পেতে পারতো দেশে, কাকে না কাকে দুম করে বিয়ে করে বসলো | এখন না পারবে ফেলতে--না পারবে লারা জীবন মিলেমিশে থাকতে। আর বিয়ে করবার দরকার ছিল কি, এদেশে মেয়ের অভাব ? যতদিন এদেশে আছে, ততদিন একসঙ্গে থেকে ফেরবার সময় বিদেয় করে দিলেই তো পারতো | এখানে তো আর সতীষদ্বের বালাই নেই, কিছু ক্ষতি হত না মেয়ের--আর এক ছড়া জোগাড় করে নিত দু” একদিন পরেই | অনঙ্গ দাশ একবার কথা বলতে আরম্ভ করলে সহজে থামতে চায় না। আর কোথায় কতটা বলা উচিত সে কথাও ভেবে দেখে না। স্থান-কাল-পান্ত ভুলে যেখানে সেখানে যা খুশী বলে যায় অনঙ্গ দাশ। সুখের বিষয় যারা তাকে জানে তারা শুধু হেসে তার কথায় সায় দেয়, আর যারা চেনে না তারা রেগে যায়, we করে-_শেষ অবধি মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয় দু'জনের । এই ইণ্ডিয়া হাউসেই অনেকে আসে যাদের বাক্যালাপ নেই দাশের সঙ্গে । কেউ কেউ তাকে বলে পাগল, কেউ বলে, অতি বাজে লোক, আর কেউ কেউ আবার তাকে তালোবীসে, শ্রদ্ধা করে বলে, ও যা বলে একেবারে খাঁটি কথা । সাতাশ বছর আছে এদেশে, ওর কথার কি কোন দাম নেই ? ভুক্ততোগী লোক বাপু অনঙ্গ দাশ | পাছে আবার আজ ইণ্ডিয়া হাউসে কি বলতে কি বলে ফেলে অনঙ্গ দাশ তাক তাড়াতাড়ি সোমনাথ বললো, কিন্তু চঞ্চল আজ আসেনি অফিসে ? তাকে দেখছি না তো! | সে কি এখন সহজে আবে ? হনিমুন চলবে কতদিন। মেমসাহেবকে মাথায় নিয়ে কোথায় কোথায় ঘুরবে তাই তেবে পাবে না ছোকরা । চতুর্দিকে গল্প করে বেড়াবে বউএর- আহা, এমন আর হয় না, কী গুণের মেমসাহেব-- কোথায় লাগে বাঙালী মেয়ে এর কাছে। বুঝলে বীাড়্‌য্যে--অনঙ্গ দাশ খুক্‌ qe করে হাসলো, থাকবে যতদিন এদেশী মেয়ে ততদিন তো! সব করবে--ঘর HB দেওয়া, বাসন মাজা-_কি নয়? তাই দেখে ভারতবর্ষের সুসস্তানর! সব দুর্গা বলে কাৎ! মেমগাহেব তার মতো! কেলে-কুচ্ছিতকে মাথায় নিয়ে নাচছে ক



Leave a Comment