পুজোর সময়ে | Pujor Samaye

সুরজ বলবে যে এটা তার “ব্যক্তিগত ব্যাপার 1” দ্বিতীয় কথা বলবে যে“বাবাকে আরও চার ছেলেমেয়ে পয়দা করতে তো আমি বলিনি । নির্বৃদ্ধি বাবার ক্ষণিক আনন্দের দাম আমার সমস্ত জীবন দিয়ে আমি কেন দিতে যাবো?” ঠিক এই ভাষায় হয়তো বলবে না, কিন্তু ব্যানার্জী সাহেব তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে শুনে এরকমই একটা কিছু সুরজ চাঁদুকে বলতে পারে যে, সে আঁচ দিয়ে রেখেছিলেন | বাংলার বর্ধমানের গ্রামের মেয়ে কেতু মিসেস ব্যানাজ্জীর সঙ্গে অনেকই সহজে সহজ হতে পারে কিন্তু উত্তরপ্রদেশের মীর্জাপুর জেলার সুরজ অত সহজে চাঁদুর কাছে সহজ হতে পারে না । যদি সুরজ এ কথা চাঁদুকে বলেই তবে যুক্তির সঙ্গে উত্তর oly দিতে পারবে না যে তা ও জানে | বাবা-মায়ের প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য যুক্তিনির্প7র যতটা নয়, ততটাই ব্যক্তিগত মানসিকতা, কৃতজ্ঞতাবোধ, মানবিকতাবোধনির্ভর | মানবিকতা মানুষেরই মনোপলি যদিও তবুও কম মানুষই সেই গুণকে আজ লালন করেন | তা তিনি শিক্ষিতই হোন কী অশিক্ষিত, ধনী অথবা দরিদ্র !' আটার রুটি, লাউকির তরকারি, রাঙা আলু ভাজা এবং আমলার আচার দিয়ে WETS যত্ন ভরে খেতে দিলো চীদুকে | গাছতলায় বসে আরামে খেলো চীদু | রোদে ইতিমধ্যেই পুজো-পুজো গন্ধ লেগেছে । চিকন এই দুপুরেও না গরম না-ঠান্ডা | দারুণ এক আমেজ | বড় ভালো লাগছিলো চাঁদুর এই সুন্দর দেশের এক প্রান্তে, পাহাড়ের উপরের মালভূমিতে, তার দেশের সহজ সরল একজন গ্রামবাসীর সঙ্গে চৌপাইতে বসে ক্ষুধার অন্ন, একবেলার জন্যে হলেও ভাগ করে খেতে ভারী ভালো লাগছিলো সমান ভালোবাসায় | এতো আলো, এমন নিষ্কলুষ পরিবেশ চারিদিকে | এতো ক্লোরোফিল | আর এমন সরল, পরিশ্রমী কলঙ্কহীন চরিত্রের দুই মানুষ এই বাজীরাও আর মাল্তি | এই পরিবেশেরই মতো অকলঙ্ক ওরা | খেতে খেতে Bly ভাবছিলো যে ও লক্ষ করেছে শহরে এলেই, দু পাতা ইংরেজি পড়লেই গ্রামীণ ভারতীয়দের অধিকাংশই তাদের চরিত্র হারায় | কলুষিত হয়ে যায় । ভণ্ড, লোভী, অকৃতজ্ঞ, চোর হয়ে ওঠে ক্রমশই 4 পরিবেশে নিজেকে অবিকৃত, AC, সহজ, অনাড়ম্বর এবং সবল জীবনযাত্রার মধ্যে সন্তুষ্ট রাখা যেন প্রতিটি দিনের পরীক্ষা হয়ে ওঠে | কে জানে ! হয়তো চাঁদুও একদিন নষ্ট হয়ে যাবে | রানীওয়াড়া টাউনশিপ-এর আকাশে বাতাসে বড় লোভ । টাকা আর জাগতিক সম্পত্তি আর কোয়ার্টারের এ- fe সি ডি-র স্ট্যাটাসই সেখানে একমাত্র বিবেচ্য, কাম্য পরম প্রার্থনার বস্তু ৷ তাছাড়া শুনতে ১৬