সূর্যের সপ্তম অশ্ব | Surjer Saptam Ashwa

উপমুখবন্ধ XV গল্পের টেকনিকের বিষয়ে তার প্রথম মতামত ছিল যে আধুনিক গল্পের আরম্ভ, sey কিংবা শেষ, তিনটের মধ্যে কোনও একটা তত্ত্ব অবশ্যই ছেড়ে AWA! এমনটা হওয়া উচিত নয়। তিনি বলতেন যে সেই গল্পই ভরাট যার GAS থাকে আরম্ভ, মধ্যে থাকে মধ্য আর শেষকালে থাকে শেষ। উনি এভাবে তার ব্যাখ্যা দিতেন ঃ আরম্ভ বলে তাকে যার আগে কিছু HS! তারপর থাকবে মধ্য, মধ্য তাকে বলা হবে যার আগে থাকবে আরম্ভ আর পরে থাকবে শেষ। শেষ তাকে বলা হবে যার আগে থাকবে মধ্য আর পরে থাকবে বাজে কাগজের ঝুড়ি। গল্পের টেকনিক সম্পর্কে ওর দ্বিতীয় মত ছিল যে গল্প 'রোমান্টিক হোক বা প্রগতিবাদী, ইতিহাস-আশ্ররী হোক বা অনৈতিহাসিক, সমাজবাদী হোক বা মূললিমলিগি, কিন্তু তা থেকে কোনও না কোনও নিষ্র্ষ অবশ্যই বেরোনো উচিত। সে red কিন্তু সমাজের পক্ষে উপকারী হওয়া দরকার এরকম স্থির সিদ্ধান্ত ছিল ওনার আর সেই জন্যেই যদিও উনি সারা জীবনে কোনও গল্প লেখেননি তবু নিজেকে মনে করতেন কথাসাহিত্যে নিষ্কর্ষবাদের প্রবর্তক। কথা-শিল্পের সম্পূর্ণ কাঠামো উনি এভাবে দিতেন ঃ কিছু চরিত্র নাও, আর প্রথম থেকে একটা নিষ্কর্ষ ঠিক করে রাখো, যেমন...মানে যে নিষ্কর্ষই বের করা হোক না কেন, তারপর চরিত্রগুলোর ওপর নিজের FUN এমন কায়েম করো, এতোটা তাবে রাখো যে তারা নিজে থেকে প্রেমের ঘু'ণ্ণতে জড়িয়ে পড়ে আর শেষ কালে তারা সেই একই নিষ্কর্ষে পৌঁছোয় যা তুমি আগে থাকতে ভেবে রেখেছো। আমার মনে প্রায়ই এই কথাগুলো সম্পর্কে সন্দেহ দেখা দিতো, কিন্তু নিষ্কর্ষবাদের বিষয়ে উনি আমাকে বলেছিলেন যে হিন্দিতে বহু গল্প লেখক এই জন্যে বিখ্যাত যে তাঁদের গল্পের প্লট খোঁড়ালেও, চরিত্রগুলো ক্যাবলা হলেও, সামাজিক আর রাজনৈতিক firme থাকতো অদ্ভুত । . আমার দ্বিতীয় সন্দেহ ছিল বিষয়বস্তুতে প্রেমের অবশ্য-প্রয়োজনীয়তা! সম্পর্কে ৷ আমি প্রায়ই ভাবতুম যে জীবনে বেশি থেকে বেশি দশ বছর মোটে এমন হয় যখন আমরা প্রেম করি। সেই দশ বছরে খাওয়া-পরা, আর্থিক লড়াই, সামাজিক জীবন, পড়াশুনা, বেড়িয়ে বেড়ানো, সিনেমা আর সাপ্তাহিক পত্রিকা, বন্ধুবান্ধব ইত্যাদি থেকে যতোটা সময় বাঁচে, সেটুকুতে আমরা প্রেম করি। তবুও তাকে অতো গুরুত্ব দেয় কেন? ভ্রমণ, আবিষ্কার, শিকার, ব্যায়াম, মোটর গাড়ি চালানো, রোজগারপাতি, টাঙাঅলা, এক্কাগাড়ি-অলা আর পত্রিকার সম্পাদক, হাজার বিষয় আছে যা নিয়ে গল্প লেখা যেতে পারে, Foose প্রেম নিয়েই বা কেন লেখা? যখন আমি wits মুল্লাকে এসব কথা জিজ্ঞেস করলুম তখন উনি চিন্তিত হয়ে উঠলেন আর বললেন, “তুমি বাংলা জানো?” আমি বললুম, “না, কেন?”