উদ্বোধন [বর্ষ-৬৭] | Udbodhan [Yr. 67]

মাঘ, ১৩৭১] কথাপ্রমঙ্গে ৩ জন্য যাহা প্রয়োজন, তাহা মানুষকে fe যাও; মানহুয crea সবল হইয়া উঠুক, নিজের ভালমন্দ নিজেই বিচার করিয়া নির্ধারণ করিতে শিখুক, যাহা ভাল afm বুঝিবে তাহা জীবনে প্রতিফলিত করিবার মত ইচ্ছা-শক্তির অধিকারী হউক--তাহা হইলেই প্রয়োজনমত সবকিছুর সংস্কার সে নিজেই করিয়া লইতে পারিবে ও করিবে। মানুষের শক্তির মূল উৎসটিকে খুলিয়া দ্রিবার কাজেই আত্মনিয়োগ করিয়াছিলেন স্বামীজী--করিতে বলিয়াও গিয়াছেন তাহাই 'মূলদেশে অগ্নিসংযোগ কর, অগ্নি ক্রমশঃ উ্ধ্বঢেশে উঠিতে থাকুক, একটি অখণ্ড ভারতীয় জাতি গঠন করুক | সুনস্থ-সবল-দেহ, অমিত ইচ্ছাশক্তির অধিকারী, দেবতুল্য “মানুষ' গড়িয়া তোল, তাহা হইলেই ভারতের কল্যাণের জন্য যখন যাহা প্রয়োজন, Sas সে কাজে অমিত শক্তি লইয়া দুর্দমনীয় বেগে সে আগাইয়া যাইবে। রাজনীতি বা সমাজনীতি বা জাতীয় জীবনের বিশেষ কোন ক্ষেত্রে বিস্তারিত কাজ করার জন্য তিনি প্রয়াসী হন নাই; জাতির “আমূল সংস্কার' যে সব অমিত শক্তিধর মহামানবদের প্রেরণায় ঘটে, তাহাদের পক্ষে এরূপ প্রয়াসের প্রয়োজনও হুয় না; তাঁহাদের প্রেরণায় Gay হইয়| বিভিন্ন ক্ষেত্রের নেতারা, মহাবীরেরা মাথা তোলেন। স্বামীজী সাফল্যের সঙ্গেই 'জাতীয় জীবনের মূলদেশে অগ্নিসংযোগ” করিয়াছিলেন--যে আগুন দেশাত্মবোধ, ভারতীয়তা প্রভৃতি রূপে জাতীয় জীবনের সর্বত্র, এমনকি সাহিত্য, ললিতকলা প্রভৃতিতেও avery afoul তাহাকে সর্ববিধ উন্নতির পথে আগাইয়া দ্বিয়াছে। চিকাগে৷ ধর্মমহাসভায় যে শঙ্খ বাজিয়| উঠিয়াছিল,' তাহার বঞ্জনির্ঘোষে দেশের বহু স্সস্তান বিভিন্ন জীবন- পথে চলিতে চলিতে সচকিত হইয়া Wivieal পড়িয়াছিলেন, এবং বহুভাবে দেশমাতৃকার সেবায় আত্মনিয়োগ করিবার পথে পা বাড়াইাছিলেন। সেই শঙ্খনিনাদ়ুই কলম্বো হইতে আলমোড়া পর্যন্ত ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হইয়া জাতির শেষ Cathe ভাঙ্গিয়া ঢ্বিয়াছিল। উদ্বোধনের AMAA প্রথম সংখ্যার (মাথ, ১৩০৫ সাল) প্রস্তাবনায় স্বামীজী লিখিয়াছিলেন “ভারতে রজোগুণের একান্ত অভাব; পাশ্চাত্যে সেইপ্রকার সত্বগুণের ।'.:-” “এই দুই শক্তির সম্মিলনের ও মিশ্রণের যথাসাধ্য সহায়তা করা “উদ্বোধনে'র জীবনোদেশ্য ।” আজ উদ্বোধনের নববর্ষে যাত্রারস্তে স্বামীজীর কাছে আমরা এই আশীর্বাদ প্রার্থনা! করি-- আমরা যেন তাঁহার নির্দেশিত পথ ধরিয়া চলিতে পারি, আমরা যেন আমাদের বর্তমান সর্ববিধ স্বার্থপরতা, দুর্বলতা ও কাপুকরুষতার Sua’ উঠিয়া তাহার আকাঙ্ক্ষিত অন্ন-বস্ত্র-শিক্ষারির অভাবহীন আশিষ্ট বলিষ্ট ahs মানবকল্যাণকামী অমিতবীর্য মানবসেবাত্রতী দ্েবতুল্য সন্তানের জননীরূপে ভারতমাতাকে স্বমহিমায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য বদ্ধপরিকর হই | বর্তমান প্রয়োজন দেেশমাতৃকার চরণ হইতে পরাধীনত্যর শৃঙ্খল আমরা খুলিয়া দিতে সক্ষম হইয়াছি এবং উন্নতির পথেও বহুদুর আগাইয়৷ আসিয়াছি। স্বামীজীর বাণী একদিন আমাদিগকে যথার্থ মানুষ হইতে শিখাইয়াছিল, এবং তাঁহারই অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত কতকগুলি সংযমী, সাহসী, দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি- সম্পন্ন, পরার্থে আত্মোৎমর্গকারী 'মানুষ* atatfacwa agp প্রাচীর ভাঙ্গিয়া আমাদের বিজয়পথের দ্বার উন্মুক্ত করিয়া! দ্বিয়াছিলেন। কাজ এখনও অনেক বাকী--বর্তমানে জাতীয় জীবনের বহুবিধ