For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)তার আগে রবীন্দ্রনাথ ১৮৯০ সালের ১৫ মে ভারত সরকারের নানা
নীতির সমালোচনা করে মন্ত্রী অভিষেক নামে একটি রাজনৈতিক প্রবন্ধ
পড়লেন। তাঁর বক্তব্য ছিল-_গবর্নমেন্টের দ্বারা মন্ত্রী-নিয়োগ অপেক্ষা
সাধারণ লোকের দ্বারা মন্ত্রী -অভিষেক অনেক কারণে আমাদের নিকট প্রার্থনীয়
মনে হয়৷ SOM জোড়াসাকো বাড়ি থেকে প্রকাশিত হতে লাগল 'সাধনা'
নামে মাসিক সাহিত্য পত্রিকা। গল্প প্রবন্ধ পুস্তক সমালোচনা ইত্যাদি নিয়ে
রবীন্দ্রনাথের রচনাই বেশি থাকত কাগজে। ১৮৯২ সালে স্থাপিত হল
ভারতীয় সঙ্গীত সমাজ। এই সমাজে অভিনয়ের জন্য রবীন্দ্রনাথ লেখেন
“গোড়ায় গলদ' নামে ANGE | তারই ফীকে জমিদারি দেখাশোনা। রাজশাহীতে
দেখা হয় বন্ধু লোকেন পালিতের সঙ্গে । তার সঙ্গে প্রথম আলাপ বিলেতে |
তার সাহচর্য কবির ভাল লাগে। রাজশাহী থেকে যান নাটোর--_আর এক
বন্ধু নাটোরের মহারাজা জগদিন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা করতে | সোলাপুর গিয়েছিলেন স্ত্রী-পুত্র কন্যাদের নিয়ে। নিজে একা ফিরে
এলেও বাড়ির লোকজনেরা ছিলেন মেজদাদার কাছে। মৃণালিনী দেবীদের
জোড়াসীকোয় ফিরিয়ে এনে সংসার পাতলেন। জমিদারি দেখতে চললেন
ওড়িশায়। সঙ্গে ভাইপো বলেন্দ্রনাথ। তিনি তখন সাহিত্যে কাকার সাকরেদি
করছেন। কটকে এসে উঠলেন বিহারীলাল গুপ্তের বাড়িতে! কটকে
থাকতেই এক CAAA স্থানীয় র্যাভেনশ কলেজের ইংরেজ অধ্যক্ষের
সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। খাবার টেবিলে বসে ওই সাহেব ভারতের সভ্যতা AACA
এমন কতকগুলি মন্তব্য করেন, যা কবিকে বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ করে। তিনি এই
ঘটনার উল্লেখ করে পরে লিখেছেন--'একজন বাঙালীর AY এসে
বাঙালীর মধ্যে যারা এরকম করে বলতে FAIS হয় না, তারা আমাদের কী
চক্ষে GTA) এই দিনের কথা স্মরণ করে 'অপমানের প্রতিকার” নামে
একটি প্রবন্ধ কিছুদিন পরে লেখেন। কলকাতায় ফিরে রাজনৈতিক আবর্তে জড়িয়ে পড়লেন। লিখলেন
ইংরেজ ও CTSA নামে বিরাট এক প্রবন্ধ। বিডন স্ট্রীটের চৈতন!
লাইব্রেরিতে সেটা পড়লেনও। সভাপতি ছিলেন বন্কিমচন্দ্র। বন্কিমচন্দ্রের
সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সেই শেষ সাক্ষাৎ। তার কিছুদিন পরেই বন্কিমের মৃত্যু 15