সন্দীপন পাঠশালা | Sandipan Pathshala

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১২ সন্দীপন পাঠশালা হুগলী যাত্রা করলে | পণ্ডিত মশাইটিও হেসে বললেন, সীতারাম আপনার বংশের মুখ উজ্জ্বল করবে । | bares মত পারবে A—Se7 মাটির প্রদীপের মত পারবে | রমানাথ we হাসি হাসলে, কোন জবাব দিলে না। নীরবে ছেলেকে রত্বহাটা স্টেশনের একধারে ডেকে নিয়ে বললে, একটি কথা কিন্তু আমাকে দিতে হলে । এইবার তোমার বিয়ে cna আমি ৷ ‘ay বললে হবে at | STMT মাথা নীচু করে বললে, বেশ | নমাল ইক্কুলে পড়ার প্রথম বৎমরেই তার বিয়ে দিলে রমানাথ, বউটির নাম মনোরমা, সীতারামেরও তাকে ভাল লাগল | এই তিন বৎসরের মধ্যে ছুটিতে যতবার বাড়ি এসেছে, ততবারই কয়েকদিনের জন্য খশুরবাড়ি গিয়েছে সীতারাম। রমানাথই তাকে পাঠাত। বিয়ের সময় মনোরমা ছিল বারো বছরের ছোটখাটো মেয়েটি । তথন তার সঙ্গে কথা বলতে সীতারামের অনেক সময় হাসি পেত । বিয়ের পর গরমের ছুটিতে সীতারাম প্রথমবার শ্বশুরবাড়ি গেল, সঙ্গে নিয়েছিল একখানা পাঠ্য বই--মহাকবি মাইকেল মধুস্থদন দত্তের 'মেঘনাদবধ কাব্য'। গরমের দিন খাওয়ার পর ates! তাকে তাদের নতুন মাটির কোঠাঘরেরে সঁড়ির দরজা দেখিয়ে বললেন, উপরে গিয়ে শোওগে বাবা, etal eal আছে। তোমার জিনিসপত্র সব উপরেই রেখে দিয়েছি। সীতারাম উপরে এসে ঘরের দরজা খুলে দেখলে, মনোরম আগেই CH বসে আছে, তার Wat খুলে .পড়ছে। সীতারাম পুলকিত হয়ে উঠল। মনোরম লেঞ্চাড়া জানে! 'দরঙদাটি ভেঙিয়ে দিয়ে সীতারাম এসে বসল মনোরমার পাশে । মনোরম] তথন way একহাত ঘোমটা টেনে সরে বসেছে বইয়ের কাছ থেকে । বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর প্রথম আলাপ | প্রথা অনুযায়ী জোর করেই তার ঘোমটা খুলতে হবে, সাথ্যলাধন৷ করে তাকে SM বলাতে হবে। সাধ্যসাধনাতেও কথা না বললে স্বামীকে অভিমান করতে হবে।- বেশ, আমার সঙ্গে কথা বলবে কেন, বল? আমি তোমার কে? দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বলতে হবে, কালই চলে যাব আমি । সীতারামকে এতটার কিছুই করতে হয় নাই, celal খুলে দিতেই মমনোরমা ফিক করে হেসে ফেলেছিল । কিছুক্ষণের মধ্যেই সে স্বচ্ছন্দে কথা বলতে Ge করলে | সীতারাম হঠাৎ Weta হাতে নিয়ে প্রশ্ন করলে, কোন্থানটা পড়ছিলে 2 কেমন লাগল ? মনোরম! ঠোটের ভঙ্গীতে ভাল না লাগার ভাব ফুটিয়ে তুলে ঘাড় নেড়ে Tra, ছাই বই তোমার | একটাও ছবি নাই। ৬ সীতারাম বললে, তুমি একটা পাগলী। পড়ে বুঝতে পারলে না, এ হল মহাকাব্য ।



Leave a Comment