For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)পদ ক্ষে পা ৩ দিতেন এবং face তাঁদের কাছে ইংরেজী শিখতেন ৷ বিদ্যাসাগরের চাকুরি-
জীবমের এই প্রথম পর্বটিকে তাঁর মিজের জীবনের পাশ্চাত্্য ও প্রাচ্য
বিদ্যার লেনদেনের উদ্যোগপর্ব বলা যায়। যুগোপযোগী জ্ঞানার্জনের ফলে
এই পর্বেই বিদ্যাসাগরের মানসিক ভিত গঠিত হয়েছিল বললে ভুল হয় না। চাকরি করেও অবশ্য বিদ্যামাগর কোনদিন তাঁর সামাজিক sera
অবহেল।৷ করেননি । চাকুরিগতপ্রাণ তিনি কোনদিন ছিলেন না, তাই
কেবল স্বার্থের ধান্ধায় কালাতিপাত করতেন ai তাঁর মতন দরিদ্র
চাকুরিজীবীর পক্ষে তাই করাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু মধ্যবিত্তহুলভ
সংকীর্ণত] ও স্বার্থপস্রতা কোনদিন তাঁকে বৃহত্তর মানবিক কর্তব্য থেকে
এতটুকু বিচ্যুত করতে পারেনি। প্রাত্যহিক কাজকর্মের মধ্যেও তিনি
সেই কর্তব্য সম্বন্ধে সচেতন থাকতেন। MHS কলেজের পূজনীয় শিক্ষকদের
সেবা-শুশ্রয। করা, আদেশ পালন করা, অগ্রজ ও অহজতুল্য বন্ধুবান্ধবদের
কর্মজীবনে প্রতিষ্ঠিত করা, বিপদে-আপদে প্রতিবেশীদের যথাসম্ভব সাহায্য
করা, এ-সব তাঁর চাকুরিজীবনের নিত্যনৈমিত্তিক অতিরিক্ত কাজ ছিল।
চাকুরি তাঁকে নিছক যসষ্ত্রে পরিণত করতে পারেনি। : তাঁর এই অতিরিক্ত কাজের কয়েকটি দৃষ্টান্ত দিচ্ছি। সংস্কৃত কলেজের
ব্যাকরণশ্রেণীর অধ্যাপক গঙ্গাধর তর্কবাগীশ ১৮৪৩ সালের গ্রীষ্মকালে
কলেরা রোগে আক্রান্ত হন। তর্কবাগীশ মহাশয় ঈশ্বরচন্দ্রকে পুত্রের মতন
CAR করতেন। অস্থখের খবর পেয়ে তিনি দুজন ডাক্তার সঙ্গে করে
তর্কবাগীশের বাড়ি wal ছুজনেই তখনকার বিখ্যাত ডাক্তার, একজম
নরীনচন্দ্র মিত্র, আর-একজন তাঁর বিশেষ বন্ধু, তালতলা-মিবাসী gitar
বন্দ্যোপাধ্যায় (হুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতা)। তিন দিন ধরে সারাক্ষণ
তিনি তার wet পণ্ডিত মহাশয়ের. চিকিৎসা! ও wR করেন।
গঙ্গাধব্লের Asa কেউ সেই সময়ে উপস্থিত ছিলেন না। ছাত্রদের মধ্যে
Bory জন যারা ছিলেন তাঁরা শুধু দর্শকই ছিলেন । সংক্রমণের ভয়ে কেউ
তার কাছে খেষেননি। বিদ্যাসাগর কেবল গুরুর প্রতি ছাত্রের কর্তব্য করার.
জন্য যাননি, মানুষের প্রতি মানুষের কর্তব্য পালনের জন্য গিয়েছিলেন |
এই oats কর্তব্যবোধ আজীবন তার মধ্যে সজাগ ছিল।