আচার্য প্রফুল্লচন্দ্রের জীবনবেদ | Acharya Prafulla Chander Jivanved

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
14 আচার্য প্রফুল্লপচন্দ্রের জীবনবেদ অপরিহার্য,_-যেমন কাগজ প্রস্তুতের কারখানায়, লৌহ ও ইস্পাত শিল্পে, সাবান ও ওষুধ তৈরির কারখানায় ইত্যাদি। শিল্পকর্মে রাসায়নিক বিশ্লেষণের কাজ শেখাবার জন্য বিজ্ঞান-সভায় তিনি বিশেষ ধরনের একটি আ্যানালিটিক্যাল ক্লাস খোলবার ব্যবস্থা করেছিলেন।”* মহেন্দ্রলাল পরিকল্পিত এই অনন্য প্রচেষ্টা দীর্ঘস্থায়ী না হলেও বাঙলার সমাজ ও ছাত্রজীবনে এর অভিঘাত বৃথা যায়নি। তলে তলে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি আকর্ষণ অনুভব করতে থাকে ছাত্রসমাজ। ভারতে রসায়নের জনকের আবির্ভাব এ হেন আর্থ-সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও বিজ্ঞান পরিমন্ডলে প্রফুল্পচন্দ্রের জন্ম 2রা আগস্ট 1861 সালে। কাকতালীয় হলেও এই একই বছরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ও প্রখ্যাত ডাঃ NAGA সরকার জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র কয়েক বছর আগে (1858) জন্মগ্রহণ করেন জগদীশচন্দ্র বসু। 'আত্মচরিত*-এ প্রফুল্লচন্দ্র তার জন্ম সালটি একটি এঁতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে যুক্ত করে বলেন, “এই বৎসরটি রসায়নশাস্ত্রের ইতিহাসে স্মরণীয়, কেননা এঁ বৎসরেই Hor 'থ্যালিয়াম' আবিষ্কার করেন।”* এই মৌলটির বর্ণালীর রঙ সবুজ ৷ পরবর্তীকালে প্রফুল্লচন্দ্রের রসায়ন বিজ্ঞানী হওয়ার “সবুজ সঙ্কেত” এই মৌলের আবিষ্কারের মধ্যে নিহিত ছিল বলে তাঁর কৌতুককর উল্লেখ। আমাদের মনে হয়, এই উল্লেখ নিছক “হিউমার' বলেই গ্রহণ করা উচিত। আচার্য প্রফুল্পচন্দ্রের দেশাত্মবোধ, স্বদেশপ্রতি, আর্থ-সামাজিক চিন্তা-ভাবনা, রাজনৈতিক ভাবনা, জনহিতকর কার্য ও জনসেবা, শিল্পোদ্যোগ, দানশীলতা, ছাত্রবাৎসল্য, সাহিত্যপ্রীতি, নিজস্ব আবিষ্কার ও গবেষণা, সর্বোপরি রসায়নবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি ক্ষেত্রে তার সহজ ও অবাধ Roar ও উপস্থিতি আমাদের যুগপৎ বিস্ময়, গর্ব ও অহঙ্কার জাগরিত করে। “মাস্টার অফ্‌ নাইট্রাইটস' বা রসায়নাচার্য তার উপযুক্ত বিশেষণ নয়;তিনি আচার্য, ফলাকাঙ্থাহীন প্রাচীন ভারতের মর্যাদাজ্ঞাপক why শিক্ষক-_ আচার্য। ৪. বিজ্ঞানাচার ডাঃ NCAA সরকার, পৃ--৬৯-৭০ 9 জআজত্মচরিত পূ-_১



Leave a Comment