For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)১ অনাধুনিক সংস্কৃতি ও নাহিত্যের এঁতিহথ বাঙলা দেশের ভৌগোলিক সীম] একদিন বহুবিস্বৃত ছিলে
উত্তরে হিমালয় আর নেপাল-সিকিম-ভুটান, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর,
পূর্বে ত্রম্মপুত্রের উপত্যকা। আর গারো-খাসিয়া-জয়ন্তিয়৷ পাহাড়,
পশ্চিমে রাজমহল থেকে শুরু করে ময়ূরভঞ্জের অরণ্যভূমি। এই
বিরাট প্রাকৃতিক সীমায় গড়ে উঠেছিলো প্রাচীন বাঙলার কয়েকটি
জনপদ। তাদের নাম He, গৌড়, রাঢ়, FA, তাম্রলিপ্ত, সমতট,
বঙ্গ ইত্যাদি। কখনও কখনও সাময়িক যোগাযোগ ঘটলেও এই
সব জনপদ মোটামুটি পরস্পর বিচ্ছিন্ন ছিলো। সপ্তম শতাব্দীর আরম্ভে রাজা শশাঙ্কের আমলে প্রথম বাঙল।
দেশের রাষ্ট্রীয় এক্য স্থ্টির চেষ্টা za তিনি বিচ্ছিন্ন জনপদণগুলিকে
একস্থুত্রে গীথবার Yo করেন, মালদহ-মুশিদাবাদ থেকে উৎকল
পর্যন্ত নিজের শাসন বিস্তৃত করতে তৎপর হন। কালক্রমে জনপদ-
গুলির মধ্যে পুণ্ড, গৌড় ও বঙ্গ প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠে । এ-তিনটির
মধ্যে আবার গৌড়ের মহিমা সবচেয়ে বেড়ে যায়। শশাঙ্কের আমল
থেকে সেন রাজত্ব পর্যন্ত সকল রাজাই গৌড়েশ্বর নামে পরিচিত
হওয়ার আশ! পোষণ ক্রতেন। কিন্তু গৌড় আপন ছত্রচ্ছায়ায় অন্য
সমস্ত জনপদ HBTS করার বিপুল প্রয়াস করা সত্বেও বঙ্গ আপন
পৃথক সত্তা বজায় রাখতে পেরেছিলো। Wy তাই নয়, সমগ্র বাঙলা
দেশকে নিজের নামের আড়ালে ঢেকে রাখার যে গৌরব গৌড়ের
কাম্য ছিলে, মুসলমান রাজত্বে বঙ্গকে GZ গৌরব অর্জন করতে
দেখি। তারপর থেকে আমাদের দেশ গৌড় নামে নয়, বঙ্গদেশ
নামেই পরিচিত প্র--১