ভারতীয় দর্শনে নিরীশ্বরবাদ | Bharatiya Darshane Nirishwarbad

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সীমাবদ্ধতার প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর বাসভবনে আমার সর্বশেষ সাক্ষাৎকারে এই অভিমতটি আমাকে তিনি সবিস্তারে বুঝিয়ে বলেছিলেন। প্রাণঘাতী ক্যান্সারের জন্য 'ক্যামোথেরাপি' চিকিৎসাধীন সেই Pros বিদ্বান মন্ত্রণারজর্জর দেহে ১৯১৯ সালের সেপ্টেম্বরে এই দৃষ্টিকোণ থেকে প্রাচীন ভৃতচৈতন্যবাদের সীমাবদ্দতা বিচার করার জন্য আমাকে বলেছিলেন। আমি এই সুগভীর তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্যটির প্রতি এই বইয়ের সুধী সকল পাঠকের দৃষ্টি অকপটে আকর্ষণ করছি। এতে সন্দেহ নেই, এই দ্বন্দ্বাত্যক বিচারের অক্ষমতা থেকেই এতিহাসিক কারণ থেকে উপজাত পরিস্থিতিতে, তারতে, TA ও পৃথিবীব্যাপী তৎকালীন বস্তুবাদী, জড়বাদী ও ভূতচৈতন্যবাদী সকল ভাবনাকে প্রায় সমূহ পশ্চাদপসরণে ও ব্যর্থতাবরণে বাধ্য করেছিল। এই বক্তব্যটি যে গভীর ভাবে ভাবনীয় তাতে কোনোই সন্দেহ নেই । আমার বইখানির সমালোচনার সূত্রে মাননীয়া অধ্যাপিকা সুকুমারী ভট্টাচার্য ভাষা ও প্রকাশগত যে কয়টি ত্রটির কথা বলেছিলেন তা যথাসাধ্য দূর করতে চেষ্টা করেছি বর্তমান পরিমার্জিত প্রকাশনাকালে । তার সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগ বহু চেষ্টাতে স্থাপন করা সম্ভব হল। কিন্তু তাঁর দু'টি মহামূল্য পরামর্শ সম্পর্কে আমার অক্ষমতা জ্ঞাপন করিছি। পূর্ণতর গন্থপঞ্জীর কাজ শেষ করা এখনও সম্ভব হল না, এটা প্রথম স্বীকৃতি । দ্বিতীয়তঃ সংক্ষিপ্ত একটি পরিচ্ছেদে 'ঝক-সংহ্তা থেকে উপনিষদ পর্যন্ত অংশের নিরীশ্বৰাদের একটি ইতিহাস সংযোজিত করার' মে সুপরামর্শ শ্রীযুক্তা অধ্যাপিকা মহোদয়া দিয়েছেন তা" নিয়ে অধ্যয়ন এখনও শেষ হয়নি। তাই এই মহামূল্য উপদেশটি কার্যকর করা এই প্রকাশনাকালে সম্ভবপর হল atl বইখানির ইংরাজিতে একটি আন্তজার্তিক সংস্করণ রচনার কাজে আমি ব্যাপৃত। আগামী এ প্রস্তাবিত প্রকাশনায় শ্রীযুক্তা ভট্টাচার্যের উপদেশ রূপায়িত করবো এবং পরবর্তী বাংলা সংস্করণে তা অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত হবে। আমি এই সশ্রদ্ধ প্রতিশ্রুতিই দিচ্ছি। বহু মাননীয় বিদ্বান ও গুণীজনের ভাবনা আমার এই পুষ্তকে নানাভাবে অভিব্যক্ত হয়েছে। কিন্তু ব্যক্ত সকল অভিমতের দায় ও দায়িতু পূরোপ্রিই আমার। সকল সীমাবদ্ধদতা৷ ও অক্ষমতা সত্তেও এই বই খানি বর্তমান আকারেই আগ্রহী পাঠক-পাঠিকার কাছে যথাযোগ্য আদৃত হলে কৃতার্থ হবো। প্রকাশনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমার বিনীত কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি | বিজনবিহারী পুরকায়স্থ



Leave a Comment