For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)১১৬ বাংলার জীবন ও জীবিকা প্রেথম পর্ব)
বড় মাইসিন ওষুধের আবিষ্কর্তা জনা সতেরো ডাক্তার এসে আমার পেট-পিঠ যেভাবে
টিপতে লাগলেন ভয় হ'ল আমার পেটের মধ্যে ক্যানসার হ'ল নাকি অন্য কিছু বিরাট
রোগ-- এত ডাক্তার কেন? এক ডাক্তার বললেন, 'জাহাজে আপনাদের গোটা দল
যে খাবার খেলেন, আপনিও খেয়েছেন, তাদের কারুর পেট খারাপ করল না, আপানার
করল কেন? বললাম, তাই বলুন, পেট খারাপ! এটা তো বাঙালির বংশগত রোগ” রাশিয়াতেও পেটের রোগকে খুব বড় করে দেখা হয়। যে কোনও শ্রমিক বা
মানুষের পর পর দুবার পেট খারাপ করলে এক সপ্তার মধ্যে তাকে হাসপাতালে
যেতেই হবে। চিকিৎসার জন্যে তাদের পয়সা লাগে না। সমাজতন্ত্রের দেশে ব্যক্তি স্বাধীনতা নেই অথচ যে যা খুশি করতে পারে না, যা
খুশি খেতে পায় না, পুঁজি বাড়াতে পারে না, মন্ত্রীর ছেলের পাশে সুইপারের ছেলে
শুয়ে এক খাবার খেয়ে মানুষ হয়, বৈচিত্র্য কোথায়? সত্যি, ভারতের মতো বৈচিত্র্য পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। এত জটিল আর
দুরারোগ্য রোগ নিয়ে কোনও দেশের মানুষ বাঁচতে পারেন না। র্যাকমেলিং বা
বর্্যাকমার্কেটিং অথবা উঁচুপদের চাকরি করে fet বিদেশের দালালী করে অনেক টাকার
মালিক হয়েও হঠাৎ দেখা যায় হাই প্রেসার, রাড টি.বি, গ্লোট ক্যানসার, হার্টের অসুখ।
না হয় এক ঢিলে পাখি মরে কিন্তু গরিবদের সাধারণ এবং সামান্য রোগণ্ডলি যখন
অর্থাভাবে ওষুধ না পেয়ে ক্রমে জটিল হয়ে ওঠে আর বংশের মধ্যে রেখে যায় সেই
রোগের প্রতিকার কোথায়? ধর্মের গুরদেবরা যে দেশের সংবিধানের মাথায় বসে আছেন ভাগ্যবাদী সেই. দেশের
ধনী দরিদ্র তো থাকবেই। পাঁচশো বছরেও তাকে হটানো কঠিন। সমস্ত ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ হতে কোনও ব্যাঙ্ক আর লালবাতি জ্বালাতে পারে না,
লোকসানও নেই, সমস্ত বাসও সরকারি হলে ভাড়া না বাড়ালেও লোকসান হবে না।
অবশ্য চুরি না হলে) সমস্ত নার্সিং হোম, ব্যক্তিগত ডাক্তারী উঠে গিয়ে সরকারি
হাসপাতাল হলে এত রোগও থাকবে না। কিন্তু এসব ব্যাপারে ধনীদেরই আপত্তি।
ব্যক্তিগত ধনসম্পত্তি, ব্যক্তিগত বাস, ডাক্তারী চেম্বার তো তাদেরই। ইঞ্জিনিয়ারিং
কারখানাতেও তাঁদের প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানীর কাছে এদেশের সরকারও
খণ করে! সরকারই ত্রাণ তহবিল খুলে বসে আছে। এদেশের সমাজতান্ত্রিক পিউরিটানরা লটারি বা রেসকে স্বীকার করে নিয়েছেন
আপাতত নিজেদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য। বিনা বিপ্লবে ভোট যুদ্ধে কেন্দ্র জয় করার
পর সংবিধান পালটে রাশিয়ার মতো সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত গরিবরা
অর্ধাহারে অনাহারে, রোগ, বেকারিতে, মামলা-মোকদ্দমায়, ধর্মের হানাহানিতে মরবে...