ভূতেরা সব এইখানে | Bhutera Shob Eikhane

২০ STEN সব এইখানে আর বল্লি অতি অবশ্য করিয়া তোমার নুটুঠাকুর্দার শ্রাদ্ধের ভোজে যোগ দিবে। সারাজীবন কেবল অপরের বাড়ির নানা ঘটাপটায় মোচ্ছবের খাওয়া খাইয়া আসিয়াছি, নিজের জীবনে কখনও তেমন মোচ্ছব বসাইবার কোনও অপারচুনিটি পাই নাই। এখন মরণে একবারের জন্য সে অপারচুনিটি জুটিল। সেই ভাবিয়া নিশ্চয় আসিবে। স্লেহ-তালবাসা জানিবে। She — তোমার পরলোকগত Tory চিঠির খামের মধ্যে মোটা একগোছা একশো টাকার নোট। HSS খানপঞ্চাশেক তো বটেই। বেদব্যাস কিছুক্ষণ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বসে থাকে। তারপর সেই খাতাখানি খোলে। দ্যাখে, খাতার হেডিংই হচ্ছে “আত্মা নামাইবার সহজ vais’) যথা : যাকে নামাবার ইচ্ছা আগে তাকে বেশ ভালভাবে চিন্তা করে নিয়ে ঘর অন্ধকার করে, সাদা কাগজে একটি বড় বৃত্ত আঁকবে। তারপর তার মধ্যে আর "একটি বৃত্ত আঁকবে, তারপর তার ভিতরে আর একটি বৃত্ত আঁকবে... তারপর আর একটি, তার আর একটি, তারপর, তারপর, তারপর ,... পাতার পর পাতা “তারপর”... বেদব্যাসের মাথা ঘুরতে থাকে। তারপর-এর পাতাগুলি উলটে দ্যাখে, অতঃপর একমুঠো সাদা সর্ষে প্রতিটি বৃত্তের মধ্যে দশটি করে স্থাপন করবে। অতঃপর — কালো তিল দিয়ে প্রতিটি বৃত্তের মধ্যে... বেদব্যাস দ্যাখে পাতার পর পাতা “SPSS” | বেদব্যাসের চোখ জ্বালা করতে থাকে। অতঃপরের WAN উলটে ফেলে। দেখতে পায়, “তৎপরে”। চলতে থাকে এই তৎপরে! তৎংপরের অধ্যায় শেষ হলে “এইবার... পাতার পর পাতা চলতে থাকে “এইবার”। ভূত বা আত্মা নামাবার এই সহজ পদ্ধতিটি দেখতে দেখতে বেদব্যাসের মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে, চোখে ধোয়া দেখতে থাকে, বুক-ধড়ফড় করতে থাকে, কান-কটকট আর পেট ব্যথা করতে থাকে। বেদব্যাস শুয়ে পড়ে ভাবতে থাকে, টাকাটা কোন সহজ পদ্ধতিতে নুটুঠাকুর্দাকে ফেরত দেওয়া AT! না দিতে পারলেই তো বিবেকের অথবা ভূতের কামড়। O নি হী