বইয়ের লেখক
বইয়ের আকার
11 MB
মোট পৃষ্ঠা
169
ধরণ
For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)যে বিচ্ছিন্ন Soin মত অবস্থান ভারতবর্ষের সব কয়টি এলাকাই সংগ্রহের
আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। অন্তত সেই যুগে এসব ভাবা অন্ধ আবেগ মিশিত
কল্পনা ছাডা আর কিছু নয়। ফলে সেই সময়ে লোকায়তে প্রচলিত সবটুকুকেই
সংগ্রহ করা গেছে কোনমতেই বলা যায় না। আর সংগৃহীত মবটুকুকেই wy
অবস্থায় নিবিচারে সঙ্কলনে ঠাই দেওয়া হয়েছে এটুকু ভাঁবার অবকাশও
বৃহদারণ্যকের উদ্ধতি থেকে প্রমাণিত হয় না। Etat বস্তুজগৎ ও ভাবজগৎ উভয়
জগতেই তখন যে Ve প্রচলিত ছিল এই উদ্ধৃতিই তার উজ্জ্বল স্বাক্ষর। তাই
আশা করার কোনই কারণ নেই যে নিবিচার সংগ্রহ হয়েছে। তবে এখান থেকে
একথাও ধরে নেওয়া ঠিক নয় যে তৎকালীন সমাজে প্রচলিত দ্বচ্বকে পুরোপুরি
সংগ্রহের বাইরে রাখা গেছে | সেই সময়ের বেদের সংগ্রাহকগণও তো সামাজিক
মান্য ছিলেন। প্রশ্ন উঠতে পারে যা কিছু সংগ্রহ sai গেছে, তা কি নির্দিষ্ট ভাবে চিহ্নিত
SA গেছে কে বা কারা, কথন, কিভাবে এই সকল সাহিত্য রচনা করেছিলেন 1?
এই প্রশ্নের উত্তরও নউঙর্থক । বৈদিক সমাজে গুরুগৃহই ছিল শিক্ষাকেন্দ্র। গুরু
মুখে মুখে শিক্ষা দিতেন শিষ্যকে কানে শুনে শ্রুতিশিক্ষার মাধ্যমে তা রপ্ত কবতে
হত। তাছাড়! তখনকার প্রচলিত প্রথা ছিল প্রচার বিম্থতা। বড়জোর
গোত্রের মাধ্যমে চিহ্নিত Fal হোত। ফলে সংগৃহীত *ত্গুলির কে উদ্গাতা,
কবে থেকে কিতাবে শুরু তার কোনরূপ নিশ্চিতি না থাকায় বৈদিক সাহিত্য
সন্কলনের পূর্বে ও পরে কোন মনীষাকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয় নি।
তাই বেদের সংগ্রহ কোন একজন ব্যক্তির রচনা সংগ্রহ নয়। এ হলো সেই
ANAT সমাজ মনীষার সমষ্টি AVA অপূর্ব সঙ্কলন। ফলে বেঁকে ঘিরে যে বিদ্বৎংমহলে নানা প্রকার বিতর্ক থাকবে এ বিষয়ে aaty
অবকাশ রাখে না। বৈদ্দিক সাহিত্য নিয়ে পাশ্চাত্য চিন্তাবিদদের কেউ কেউ তো
এমন TWAS করেছেন যে৬ প্রাচীন ভারতীয়দের এঁতিহাসিক বোধ ছিল ait
ভারতীয় সভ্যতা-সংস্কৃতি সম্পর্কে ভ্রান্ত ধায়ণাই এই সকল মন্তব্যের উৎস। কারণ
ভারতীয় সাহিত্য-সংস্কৃতিতে ইতিহাসকে পঞ্চম বেদ রূপে চিহ্নিত করা হয়েছে।*
ইতিহাস চেতনা রহিত হলে এই প্রকার বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত প্রতিফলিত হয় না। সত্য
যা তা হলো ভারতীয় মনীষা কথনো ব্যক্তি মাহাত্ম্য প্রচার করত না । কেননা
তা পরিণামে ব্যক্তিতান্ত্রিক পোভ লালসাকে উৎমাছিত করতে পারে। তাছাড়া
সাহিত্য-সংস্কৃতি কখনোই ব্যক্তি-মানযের নয়। সমাজে প্রচলিত fare থেকেই গড়ে