সাঁঝবেলাতে | Sanjhbelate

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
২০ সাঁঝবেলাতে সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়ে থাকে, এমন মহিলারা সেই সম্পর্ক রদ করলে তিনি বাঘিনীর মতো হিংস্র হয়ে ওঠেন বোধহয়। কর্ডলেস-এর সুইচটা টিপে দিয়ে হরপ্রসাদ কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থাকলেন। বাইরে বড়ই কোলাহল। ভবিষ্যতে কলকাতায় না কি মানুষ আর যানবাহন আরও বেড়ে যাবে। কাগজে পড়েছিলেন। সব সময়েই এত আওয়াজ, এত গাড়ির হর্ন, এত বিভিন্ন যানবাহনের এঞ্জিনের আওয়াজ একটুও ভাল লাগে না আর। হেঁটে কোথাও যাওয়া তো যায়ই না, গাড়ি করেও কোথাওই যাওয়া যায় না। হাইকোর্টে যেতেই হয় সপ্তাহে পাঁচদিন। সেখান থেকে ফিরে কোথাওই আর যেতে ইচ্ছে করে না। ইচ্ছে করে, প্রতি উইকএন্ডেই রাজপুরের বাগানবাড়িতে চলে যান, কিন্তু হয় না। কনফারেন্স থাকে, প্লেইন্ট সেটল করার থাকে, পরের সপ্তাহের মামলা দেখে রাখতে হয়। এত কাছে করলেন বাগানবাড়ি তাও যাওয়া হয় না। তিন জন মালী, বাবুচি, বেয়ারা, ইলেকট্রিসিটি, ফোন, ফ্যাক্স খরচা যা হওয়ার হয়ই কিন্তু যাওয়াই হয় না। সত্যি কথা বলতে কি আজকাল কোর্টেও আর যেতে ইচ্ছে করে না। সব জায়গার পরিবেশই পাল্টে গেছে, মানুষজন সব অন্যরকম হয়ে গেছে। না কি, তিনি সত্যিই বুড়ো হয়ে যাচ্ছেন? প্রায়ই মনে হয়, আর বেশি দিন খাপ খাওয়াতে পারবেন না) শুধু টাকার জন্যেই যে কাজ করেন তা নয়। যতটুকু সঞ্চয় আছে তাতে তার কাজ ছেড়ে দিলেও বাকি জীবন এইভাবেই কেটে যাবে। টাকার Get নয়, কিন্তু কাজ না করলে করবেনটাই বা কি? সময় কাটবে কি করে। অকুপেশান ছাড়া মানুষে বাঁচে? রিটায়ার্ড মানুষদের মতো সকালে লাঠি বা ছাতা হাতে করে বেশি দিন বাঁচবার জন্যে হেঁটে বেড়ানো, পার্কের বা বেঙ্গল রোয়িং ক্লাবের লনে বসে চা খেতে খেতে রাজা-উজির মারা বা মুখরোচক পরনিন্দা পরচর্চা করে বেড়াতে তার মানসিকতাতে বাধে। তবে আগে “হেল্থ কনশাস” বুড়োদের যতখানি অনুকম্পার চোখে দেখতেন এখন আর তা পারেন না। শরীর নানারকম বেগড়বাই শুরু করেছে। অনেকের কাছেই শোনেন, সম্ভানদের মধ্যে মেয়েরা না কি ছেলেদের COTA অনেকই বেশি দেখে বাবা-মাকে, বুড়ো বয়সে। তাঁর ছেলেমেয়েই নেই, তার বাছবিচার! কত দিন বাঁচতে হবে তা তো জানা নেই। বার্ধক্যে কার শরণাপন্ন হবেন? জীবনে অনেক Tas জিতে এসেছেন, সত্যি কথা বলতে কি, কোনও যুদ্ধেই Vea নি। হারতে ভালবাসেন নি। কিন্তু ভয় হয়, MWA কাছে বোধহয় হেরে যাবেন। আর সেই হার হবে বড় মর্মস্তদ। অনস্তরূপ, তার সমবয়সী মামাতো ভাই, একটা আমেরিকান আ্যাড় কোম্পানিতে বড় চাকরি করতেন। অনেক টাকা নিয়ে রিটায়ার করেছেন। এক ছেলে। সে স্টেটস- এ থাকে, জাপানি মেয়ে বিয়ে করেছে। অনন্তর পারকিনসনস্‌ ডিজিজ হয়েছে। হাত কাপে, জামাকাপড় পরতে পারে না, কথা জড়িয়ে যায়, কি বলে, তা বোঝা যায় না। অনন্তর ছোড়দা বলে, খুব কম অন্যায় তো করে নি অন্তু মানুষের ওপরে । সব STH যেতে হবে। এখানেই শুধতে হবে। তাই গুণাগার দিচ্ছে ays



Leave a Comment